করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইদিনে আখাউড়া উপজেলার দুই ব্যাংক কর্মকর্তার ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে আখাউড়া মোগড়া গ্রামের ওয়াহিদ মুরাদ (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এবং গতকাল রোববার ধরখার ছতুরাশরীফ গ্রামের হেছাম উদ্দিন ওরফে বিল্লাল মিয়া (৫৫) মারা যায় কুর্মিটোলা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে। মৃত এই দুই ব্যক্তি উত্তর ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
এদিকে তাদের পরিবারের সদস্যরা তথ্য গোপন করে আখাউড়ায় তাদের গ্রামের বাড়িতে মৃতদের লাশ দাফন করতে চাইলে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে। বিল্লাল মিয়ার লাশ ছতুরাশরীফ গ্রামে দাফনের উদ্দেশ্যে পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে কুমিল্লা পর্যন্ত এসেছিল, পরে প্রশাসনের চাপে লাশ নিয়ে ঢাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হয়। এই লাশ এখনো দাফন সম্পন্ন হয়নি বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা জানিয়েছেন। করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তি ধরখার ইউপি চেয়াম্যানের নিকট আত্মীয়। লাশের গাড়ির সাথে করোনা আক্রান্ত এক রোগী ছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন।
অপরদিকে খোজ নিয়ে আরো জানাগেছে, আজ ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে মৃত্যুবরণকারী ব্যাংক কর্মকর্তা ওয়াহিদ মোরাদের লাশ মোগড়া গ্রামে এনে দাফনের কৌশল প্রয়োগ করছে পরিবারের সদস্যরা কিন্তু তার লাশও আখাউড়ায় এনে দাফন করতে দেয়া হবেনা বলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ রসুল আহমদ নিজামী জানিয়েছেন।
মারা যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান নাজিমের নিকট আত্মীয়। তিনি বলেছেন, করোনা ইউনিটে তার আত্মীর মৃত্যু হলেও এখনো নিশ্চিত হয়নি সে করোনা আক্রান্ত ছিলেন, আজ বিকালে জানা যাবে তার করোনা পজিটিভ ছিল কি না। এই লাশ আখাউড়ায় আনা হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com