আখাউড়ায় ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বর্বর ও পৈশাচিক পন্থায় নির্যাতন করা হয়েছে। নারকীয় কায়দায় ১৩ বছর বয়সী এই শিশুর উপর নির্যাতন চালিয়েছে কয়েকজন পাষন্ড। আজ রোববার বিকালে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় এই শিশুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানাগেছে, আজ রোববার বিকালে নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে ঘরে একা রেখে বাবা ও মা ডাক্তার দেখাতে আখাউড়া পৌর শহরে চলে যায়। এই সুযোগে কয়েকজন পাষন্ড ঘরে প্রবেশ করে তার উপর পৈশাচিক হামলা চালায়। পাষন্ডরা মেয়েটির মুখে কাপড় গুজে দিয়ে জোরপূর্বক প্রথমে হাত ও পায়ের কিছু অংশের চামরা ব্লেইড দিয়ে কেটে দেয়। পরে মাদকসেবন করানো থেকে শুরু করে সব ধরণের পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয় মেয়েটির উপর। বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরে নরকীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। মেয়ের মুখে সুই দিয়েও খুচায়, যৌন নির্যাতন করে অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে ঘরে ফেলে চলে যায় পাষন্ডরা। পরে সন্ধ্যায় গুরুত্বর অবস্থায় মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে খবর পেয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ রসুল আহমদ নিজামী ও ওসি তদন্ত মোহাম্মদ আরিফুল আমিন ছুটে আসেন হাসপাতালে।
এদিকে মেয়ের বাবা জানায়, আখাউড়া উপজেলার শীর্ষ মাদক সম্রাট আনোয়ারপুর গ্রামের ‘কাজল’ এর সাথে চলতি মাসের শুরুতে তার ঝগড়া হয়। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তার মেকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ঘটনার কয়েকদিন আগে কাজল বাহিনীর লোকজন এই মেয়েকে হাত পা বেধে নির্যাতনের চেষ্টাও করে।
তিনি আরো জানান, কাজলের বিরুদ্ধে থানায় ১০/১২টি মাদক মামলা রয়েছে। কিছুদিন আগে সে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জেলহাজতে থাকলেও তার বাহিনী দিয়ে মেয়েটির উপর পৈশাচিক নির্যাতন করেছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ রসুল আহমদ নিজামী জানায়, অপরাধীদের গ্রেফতার করতে ইতিমধ্যে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com