আখাউড়ায় গৃহবুধ সুমা আক্তারের মৃত্যু ঘটনায় স্বামীসহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সুমার লাশ ও সন্তানদের গ্রহন করেনি শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
জানাগেছে, গত শুক্রবার আখাউড়া দক্ষিণ মনিয়ন্দ গ্রামে স্বামীর বসত ঘরে ফাসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমার শরীরে জখম থাকায় ও ফাস দেয়ার স্থান নিয়ে সন্ধ্যের হয় সৃষ্টি হলে সুমা আক্তারের পিতা কসবা শীতলপাড়ার মো: কবির মিয়া বাদী হয়ে এদিন রাতেই সুমার স্বামী সুমন মিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মর্গে পাঠায়।
নিহত সুমার বাবা মো: কবির মিয়া জানায়, সুমাকে হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার নাটক করেছে তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তার ধারণা বৃহস্প্রতিবার দিবাগত রাত অনুমান ১২টায় সুমাকে হত্যা করে ফাসিতে ঝুলিয়ে পরের দিন শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর দিয়েছে তাকে। তার শরীরে জখম ছিল, দুই পা বাকা করা ছিল। পা সুজা থাকলে গলায় ফাস লাগার কথা নয় বলেও তার ধারণা।
তিনি আরো জানান, মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নিয়মিত অত্যাচার নির্যাতন করেছে তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মেয়ে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেই স্বামীর সংসার করছিল গত ছয় বছর ধরে।
তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের পর তার মেয়েকে কসবায় দাফন কাফন করা হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার লাশটা পর্যন্ত গ্রহন করতে রাজি হয়। দুইটি শিশু সন্তানকে তারা রাখতে চায়নি বলেও তিনি জানান। দুই শিশু সন্তানের দিকে তাকানো যায় না। কিভাবে এই শিশুরা মাকে ছাড়া বাচবে সেই দু:শ্চিন্তায় তিনি দিন কাটাচ্ছেন বলেও জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির সবাই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের পর বুঝা যাবে সুমাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে নাকী সুমা আত্মহত্যা করেছে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com