ব্রেকিং

x

হোসনে আরা ছবি নিজের সন্তানের মতই ভালোবাসেন কুকুর বিড়াল

রবিবার, ২৩ মে ২০২১ | ৩:২০ অপরাহ্ণ

হোসনে আরা ছবি নিজের সন্তানের মতই ভালোবাসেন কুকুর বিড়াল
হোসনেয়ারা ছবি ও তার বিড়াল

হোসনেয়ারা ছবি নিজের সন্তানের মতই ভালোবাসেন কুকুর বিড়াল। বরগুনা জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক তিনি। একটি দুটি নয়, ৩৮টি বিড়াল আর ৫টি পুকুর পোষেন তিনি, এছাড়াও বাইরের ১০টি বিড়াল ও ৮টি পুকুরকে খাবার দেন। লালন-পালন করেন সন্তানের মতোই। প্রতিমাসে বিড়াল আর কুকুরের জন্য খরচ হয় ১৫০ কেজি মাছ, ৫০ কেজি চাউল, ৪০ কেজি ক্যাট ফুড। স্কুল থেকে প্রতি মাসে হোসনেয়ারা ছবি যে বেতন পান তার সবটাই চলে যায় কুকুর বিড়ালের পেছনে। লকডাউনের সময় টানা দুইমাস দুইশতাধিক কুকুরকে এক বেলা খাবা্র দিয়েছেন তিনি।

নাম ধরে ডাকলেই দৌড়ে চলে আসে কুকুর বিড়াল। প্রত্যেকেরই আছে ভিন্ন ভিন্ন নাম। বরগুনা জেলা সদরের কলেজ ব্রাঞ্চ রোডে তার বসবাস। নিজের সন্তানের মতই ভালোবাসেন এই কুকুর বিড়ালদের। বর্তমানে তার বাড়িতে আছে ৩৮টি বিড়াল ও ৫টি কুকুর।
তাদের না খাইয়ে কখনও নিজে খাবার মুখে দেন না হোসনেয়ারা ছবি। বলছেন, কুকুর বিড়ালের হাসি-কান্না সবই বুঝতে পারেন তিনি। কয়েক প্রজন্ম ধরেই কুকুর বিড়াল পোষেন তারা। তার নানা এসব কুকুর বিড়াল পোষতেন। পরে  তার মা পোষতেন। এখন তিনি বিড়াল কুকুর পোষেন। প্রতিমাসে স্কুল থেকে যে টাকা বেতন পার, তার পুরোটাই খরচ করেন কুকুর বিড়ালের পেছনে।

পশুর প্রতি হোসনেয়ারা ছবির এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ  অনেক প্রতিবেশিরাও। তারা বলছেন, বর্তমান সমাজে মানুষ যখন নিজেই ব্যস্ত, তখন হোসনেয়ারা ছবির মতো একজন নারীর এমন পশু প্রেম সত্যিই অতুলনীয়। আবার কিছু প্রতিবেশী আছে তারা তার কুকুর বিড়ালকে সুযোগ পেলে নির্যাতন করে।
খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের খাবার জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ছবিকে। কুকুর বিড়ালের প্রতি হোসনে আরা ছবির এমন মমতা,পশু পাখি রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন।


এ ব্যাপারে হোসনেয়ারা ছবি বলেন, আমি সখ করে পুষি না। রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ ও বিপদগ্রস্ত বিড়ালদের আশ্রয় দিই মাত্র। কেন জানি না এড়াতে পারি না। আমার বাসার আশেপাশে থাকা সব ছিন্নমূল কুকুর বিড়ালদের খাবার দিই। তার মধ্যে রেগুলার তিনবেলা এসে খায় ১০টি বিড়াল ও ৮টা কুকুর। এছাড়া রেগুলার সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার প্রায় সব কুকুরের খোঁজ নিই। ক্ষুধার্ত থাকলে খাবার দিই, অসুস্থ থাকলে স্পট ট্রীটমেন্ট দিই।তিনি আরো বলেন, সব প্রতিবেশিরা যে পছন্দ করে এমন নয়, কারো কারো কর্তৃক এরা নির্যাতনের শিকারও হয়।
২০২০ সালের লক ডাউনের সময় পৌর এলাকার দু’শতাধিক কুকুরের জন্য আড়াই মাস এক বেলা খাবার রান্না করে খাইয়েছি বরগুনা এনিমল লাভার গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে। এবারের লকডাউনে একাই যতটা সম্ভব হয়েছে প্রতিদিন পৌর এলাকার কুকুদের রোজ দু’শত টাকার রুটি কিনে খাইয়েছি।


আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!