প্রিয় আমার
জানিনা কী করে রোদ মুছে দিলে বাতাস যখন দখিনা। আলো ফোটার আগেই তো গঙ্গার থিরথির বুকজলে দাঁড়িয়ে দু ‘ফোটা বৃষ্টির জন্যে ছিল প্রার্থনা । তবু গোমট মেঘের বেলায় নদীতেই হৃদয় ভাসালে।
এখন আর কেউ লাল পেড়ে ফুুুলিয়ার তাঁতফুল বাতাসে উড়িয়ে যায় না মাধবী কুঞ্জে। কোকিলের বাসায় গোপনে রেখে আসে না পিয়ানোর রিড। গোলাপ কাঠের বাক্সে জমিয়ে রাখার চিঠিও আর আসেনি বহুদিন নতুন ঠিকানায়। শরীরের উৎসব ধুয়ে ফেলেছে সে উৎসবিহীন জলে। শুধু রেখে এসেছে চিরকালের জন্যে হরিণী চোখজোড়া মেঘে ঢাকা ভুবনডাঙ্গার মাঠের ধারে। ছিঁড়ে ফেলেছে পলাশের সাজ।
অলৌকিক স্ক্রিপ্টে লেখা আত্মকথার শেষ পাতায় ভাসালে প্রাণের জ্যোৎস্না-তরঙ্গ শেষবারের মতো। আঁধারে শূন্য ঘরে দুলছে শুভ্র মেঘের পর্দা। নিঃসঙ্গ মেহগনী কলঙ্ক আসবাব। সে জানে না আনন্দ রঙ গুঁড়ো করে মিশিয়ে ছিল বিষণ্ণ রূপোর আফিম বাটিতে। জ্বলন্ত চিতায় পুড়ছে অভিমানে ডায়েরির শেষ শব্দেরা, প্রিয়তম হে…
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com