ব্রেকিং

x

কবর দেয়ার ১১ দিন পর ভেসে এলো মহিলার চীৎকার! তারপর

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

কবর দেয়ার ১১ দিন পর ভেসে এলো মহিলার চীৎকার! তারপর

আপনার সবচেয়ে বড় ভয় কী? উত্তরে অনেকেই বলবেন জ্যান্ত কবর দেয়া৷ একাধিক মানুষের সেই দুঃস্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল ব্রাজিলের রোজংলা আলমেদিয়া দোস সান্তোসের ক্ষেত্রে৷ জানা গেছে, ৩৭ বছরের রোজংলাকে মৃত ভেবে কবর দিয়ে দিয়েছিল তার পরিবার৷ টানা ১১ দিন ধরে কংক্রিটের সেই কবর খুঁড়ে বের হবার চেষ্টা করেও হয়নি শেষরক্ষা৷ কবর খুলে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে তার৷ তখনো দেহের তাপমাত্রা উষ্ণ ছিল রোজংলার৷


জানা গেছে, গত মাসে তীব্র ক্লান্তির কারণে রোজংলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তার পরিবার৷ প্রায় ৭ দিন হাসপাতলে ভর্তি থাকার পর ২৮ জানুয়ারি চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে৷ রোজাংলার ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী, প্রথমে কার্ডিয়াক আরেস্ট এবং তারপর ‘সেপটিক শক’-এ গিয়ে তার মৃত্যু হয়৷ পরের দিন উত্তর ব্রাজিলের রিয়াচও দাস নেভেসের ‘সেনহোরা সানটানা সেমেট্রি’তে কংক্রিটের কফিনে মৃত রোজংলাকে কবর দেয় তার পরিবার৷


জানা গেছে, রোজংলাকে কবর দেয়ার ১১ দিন পর কবরস্থানের কাছাকাছি বসবাসকারী স্থানীয়রা কবরের ভিতর থেকে চিৎকার শুনতে পান৷ সঙ্গে সঙ্গে রোজংলার পরিবারকে খবর দেন তারা৷ কবরস্থানে এসে রোজংলার কফিন ভাঙেন পরিবারের লোকজনেরা৷ তখনও তার গায়ের তাপমাত্রা উষ্ণ ছিল৷ কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে৷ মারা গেছেন তিনি৷

প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কবরস্থান থেকে কয়েকজন ব্যক্তি একটি ভারী কফিন তুলছে৷ তারপর কফিনের ঢাকনা খুলতেই সবাই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন৷ জানা গেছে, রোজংলার হাতে ও মাথায় আঘাত ছিল৷ যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, কফিন থেকে বের হয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷ কফিনের পেরেকগুলিও উপর দিকে উঠে ছিল৷ কফিনের ভিতরে রক্ত ও আচড়ানোর দাগ ছিল৷

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নাতালিনা সিলভা বলেন, ‘‘ আমি যখন কবরটির সামনে যায় তখন কবরের ভিতর থেকে আসা আওয়াজ শুনতে পাই৷ আমি ভেবেছিলাম কবরে যেসব বাচ্চারা খেলতে আসে তারা আমার সঙ্গে মজা করছে৷ তারপর আমি তাকে দু’বার আওয়াজ করতে শুনি এবং ওই দু’বার আওয়াজের পর তিনি আর কোনো শব্দ করেননি৷’’

রোজংলার মা জারমানা ডে আলমেদিয়া (৬৬) বলেন, ‘‘সে ঢাকনাটি খোলার প্রাণপন চেষ্টা করেছিল৷ ওর হাতে আঘাত ছিল৷ যেন ও বেড়ানোর চেষ্টা করছিল৷’’ পরিবারের বিশ্বাস রোজংলাকে ভুল করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল৷ এবিষয়ে রোজংলার বোন ইসমারা আলমেদিয়া বলেন, ‘‘আমরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইনা৷ আমরা কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চাইনা৷’’

তবে পরিবার কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে না চাইলেও মৃত্যুর ১১ দিন পর কারোর দেহের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকতে পারে না৷ এই সত্যটি স্বীকার করে নিয়েছেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আর্নাল্ডো মন্টে৷ ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে যাবতীয় সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন রোজংলাকে মৃত ঘোষণাকারী হাসপাতালের একজন মুখপত্র৷

সুত্র: নয়াদিগন্ত

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!