ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মসজিদের ছাদ থেকে এক শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ৭ জুলাই সোমবার নিহতের মা লিপা আক্তার বাদী হয়ে সরাইল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী। তিনি জানান, সোমবার সকালে নিহতের মা ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ও সিআইডি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মসজিদের ইমাম হামিদুর রহমান ও মুয়াজ্জিন সাইদুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে এখনও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নিখোঁজের একদিন পর ময়না আক্তার নামে এক ৯ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৬ জুলাই রোববার সকালে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের হাবলিপাড়া জামে মসজিদের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু ময়না উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ছন্দুমিয়া পাড়া এলাকার প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে। সে হাবলিপাড়া মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল। মেয়েটিকে কে বা কারা ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলে গেছে বলে পরিবার ও এলাকাবাসীর ধারণা।
নিহত ময়নার মা লিফা আক্তার বলেন, ৫ জুলাই শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ময়না নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যার পর থেকেই পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে থাকেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিখোঁজ সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়া হয় এবং মাইকিংয়ের মাধ্যমে সারা এলাকায় জানানো হয় মেয়েটির সন্ধান চেয়ে। অবশেষে রবিবার সকালে মসজিদে পড়তে যাওয়া বাচ্চারা মসজিদের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে তার মরদেহ দেখতে পায়।
সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা ও শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মসজিদের ইমাম হামিদুর রহমান বলেন, আমি চা খেয়ে এসে শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছি। এসময় দ্বিতীয়তলা এক শিক্ষার্থী এসে বলছে একটি মেয়ে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীকে খবর দিলে তাঁরা এসে উদ্ধার করে। আমি নিচতলায় ছাত্রদের পড়াই আর দ্বিতীয়তলায় সালাউদ্দিন নামে একজন পড়ান।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞেসার জন্য মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com