ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার খড়মপুর গ্রামে অবস্থিত সৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (র:) জামে মসজিদ। ১১১১ বছর আগে নির্মিত মসজিদটি এখানকার এক অনন্য নির্দশন। পাশেই সৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (রা:) প্রকাশ্যে কেল্লাহ শাহ (র:) মাজার শরীফ। এই মাজার ও মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন এখানে মানুষের ভীড় জমে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিন খোজ নেয়ার সময় দেখা গেছে মসজিদটির দেয়ালে লেখা আছে সন ৩২৩ ত্রিপুরা। বর্তমানে ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ও প্রচলন থাকলেও ত্রিপুরা সন হবে ১৪৩৪। সেই হিসেবে মসজিদটির বর্তমান বয়স ১১১১ বছর। এখনো অক্ষত রয়েছে এই মসজিদ। তবে পাশেই বিশালাকার নতুন মসজিদ হওয়ায় হাজার বছরের পুরোনো এই মসজিদে এখন আর নামাজ পড়া হয় না। প্রতিদিন সকালে শিশুদেরকে ধর্মীয় পাঠ দেওয়া হয় মসজিদটিতে। মসজিদে সনের সঙ্গেই লেখা থাকা ‘ত্রিপুরা হলো অঞ্চলের নাম। এক সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যেরে অধীনে ছিলো এই আখাউড়া এলাকা। যে কারণে মসজিদের স্থাপনা সনের সঙ্গে ত্রিপুরা লেখা আছে বলে স্থানীয়দের ধারনা।
দেখা যায়, মাজারের মূল অংশের উত্তর পূর্ব দিকে মসজিদটির অবস্থান। এখনো বেশ পরিপাটি। গম্বুজটি বেশ সুন্দর, মুজাইক করা। চুন, সুড়কির দেয়ালে আছে হালকা কারুকাজ। প্রবেশ পথের দরজাটি তুলনামূলক নিচু। আধুনিকায়ন করতে গিয়ে মসজিদের মূল ভবনের সামনের অংশ টিনশেড দিয়ে বাড়ানো হয়েছে। এর সামনেই অজু করার জায়গা। পুরাতন মসজিদটির পূর্ব পাশ ঘেঁষেই নতুন মসজিদ। পেছনের দিকে পুরাতন কোরআন শরীফ রাখার জায়গা, যেটি অনেকটা সংরক্ষিত। মসজিদের দেয়াল ও গম্বুজের পুরুত্ব¡ সাধারণের চেয়ের অনেক বেশি।
মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেমসহ স্থানীয়রা কেউ মসজিদ নির্মাণের সন সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে মসজিদের গায়ে লেখা থাকা সন ৩২৩ লেখা থেকেই এর নির্মাণ সম্পর্কে ধারণা দেন তারা। মসজিদটি হাজার বছরের পুরো বলেই তাঁরা একমত পোষণ করেন।
উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, ঐতিহাসিকভাবে ত্রিপুরা সন ব্রিটিশ রাজ্যের অধীনে ‘তিপ্রা‘ রাজ্যের সব সরকারি বিষয়ে প্রচলিত ছিল। ১৯৪৯ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্রের সাথে ত্রিপুরার যোগদানের সঙ্গে সঙ্গে ত্রিপুরী বর্ষপঞ্জির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com