ব্রেকিং

x

ভারতের বিষাক্ত পানিতে তিতাসনদী ধ্বংসের মুখে-কবির আহমেদ ভুঁইয়া

সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৬:১৭ অপরাহ্ণ

ভারতের বিষাক্ত পানিতে তিতাসনদী ধ্বংসের মুখে-কবির আহমেদ ভুঁইয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি নেতা কবির আহমেদ ভুইয়া বলেছেন ভারত ত্রিপুরার রাজ্যের বিষাক্ত বর্জ্য পানিতে দেশের ঐতিহ্যবাহী তিতাসনদী ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে নদীর স্বাভাবিক জৈবচক্র। আজ সোমবার গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন।


এই বিষাক্ত পানি থেকে মুক্তির জন্য অবিলম্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সরেজমিন গিয়ে দেখলাম ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের বর্জ্য ও নর্দমার দূষিত পানি নামছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের কালন্দি খাল দিয়ে। এই বিষাক্ত পানি তিতাস নদীর পানিতে মিশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জলজ উদ্ভিদ, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, জলজ প্রাণী। স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে নদীর পাড়ের জনগোষ্ঠী।
তিনি বলেন, তিতাস নদীর ওপর নির্ভরশীল বহু পরিবার নদীর মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু নদীতে এখন আর আগের মতো মাছ নেই। স্থানীয় জেলেরা জানান, পানি এতটাই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে যে মাছের ডিম পাড়ার পরিবেশও নষ্ট হয়ে গেছে। এসব পানি ধানের জমিতে সেচ দেয়ায় মাটির উর্বরা শক্তিও নষ্ট হচ্ছে।


তিনি আরও বলেন, এই দূষণের পেছনে প্রশাসনের নীরবতাও দায়ী। স্থানীয় পরিবেশবাদীরা যদি সক্রিয় না হন, তাহলে আগামী প্রজন্ম আর তিতাস নদীকে চেনার সুযোগ পাবে না। ভারতের এই বিষাক্ত পানি থেকে মুক্তির জন্য তিনি ৪টি বিষয় তুলে ধরেন যার মধ্যে রয়েছে সরকারের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা, সীমান্ত এলাকায় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন, নদী রক্ষা আন্দোলনের জাতীয় পর্যায়ে বিস্তার ও স্থানীয় জনগণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে গণস্বাক্ষর ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪০ লক্ষ মানুষের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে জানান দিতে হবে। তা না হলে আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষজন নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হবে। তারা এখন ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি তিতাস নদীর মাছও বিষাক্ত হয়ে গেছে। এই মাছ খাওয়ার কারণে এ অঞ্চলের মানুষ নানাবিধ জটিল রূপে আক্রান্ত হচ্ছে।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!