ব্রেকিং

x

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নমুনা বেশি নেয়া এলাকায় আক্রান্তও বেশি, সংগ্রহে গড়িমসির অভিযোগ

সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ | ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নমুনা বেশি নেয়া এলাকায় আক্রান্তও বেশি, সংগ্রহে গড়িমসির অভিযোগ

বিশ্বজিৎ পাল বাবু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার করোনা পরিস্থিতি দিনকে দিন অবনতির দিকে। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত হিসেব থেকে দেখা যায়, এপ্রিল ও মে মাসে যেখানে ১২১ জনের করোনা পজেটিভ আসে সেখানে এ মাসের প্রথম ১২ দিনে ২৮৫ জনের পজেটিভ আসে। গত দুইদিন (রবিবার বিকেল নাগাদ) কোনো ফলাফল আসেনি।


সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ফলাফল নেয়া সদর উপজেলাতে আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। অন্যদিকে সবচেয়ে কম নমুনা সংগ্রহ হওয়া আশুগঞ্জ উপজেলাতে আক্রান্তের সংখ্যাও তুলনামূলক কম। এদিকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জেলা সদরে নমুনা সংগ্রহে গড়িমসির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি লকডাউন হওয়া এলাকায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা টিম থাকার কথা থাকলেও সেটি তো দেখা যায়নি বরং নমুনা সংগ্রহের কথা বললে উড়িয়ে দেয়া হয়। জেলা সদর হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর সংশ্লিষ্টরা বাড়ি বাড়ি যেতেই চাচ্ছেন না। স্বেচ্ছায় যারা নমুনা দিচ্ছেন তাদের নমুনা নেয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকসহ দুই ভাই গ্রেফতার

শুক্রবার নাগাদ আসা ফলাফলের তালিকা থেকে দেখা যায়, জেলায় ছয় হাজার ৫৮৫ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফল আসে পাঁচ হাজার ৪১৩ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে দেয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে মাত্র ৪৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক ও ২৭৯ জন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এরই মধ্যে মারা গেছেন ছয় জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার নাসিরনগর উপজেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা ৬২৭ জনের মধ্যে ২৩ জনের করোনা পজেটিভ আসে। সরাইলে নমুনা নেয়া ৪২৯ জনের মধ্যে ২১ জন, আশুগঞ্জে ৩৭৮ জনের মধ্যে ১৮ জন, সদরে ১৫১০ জনের মধ্যে ১১৪ জন,বিজয়নগরে ৪৭০ জনের মধ্যে ১৪ জন, আখাউড়ায় ৫৪০ জনের মধ্যে ২৬ জন, কসবায় ৮৭৬ জনের মধ্যে ৬৩ জন, নবীনগরে ১২০২ জনের মধ্যে ৯৫ জন, বাঞ্ছারামপুরে ৫৫৩ জনের মধ্যে ৩২ জন করোনায় আক্রান্ত। করোনা আক্রান্ত হয়ে সদরে দুইজন, আখাউড়ায় দুইজন, নবীনগরে একজন ও নাসিরনগরে একজন মারা গেছেন।

আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ৭দিনেও মিলছে না রিপোর্ট, করোনা বিস্তারের শঙ্কায় সাধারন মানুষ উদ্বিগ্ন

এদিকে সার্বিক দিক বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নবনীগর ও কসবা পৌরসভায় কঠোর অবস্থান অবলম্বন করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্ব পাইকপাড়া, কালাইশ্রীপাড়া, মধ্যপাড়া, কাজী পাড়া এলাকা শনিবার রাত থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত লকডাউন করা হয়। নবীনগর পৌরসভায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কসবার আড়াইবাড়ি, সাহাপাড়া, শীতলপাড়া এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন ঘোষণা করে প্রয়োজনে বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবার কথা বলা হয়। কিন্তু রবিবার দুপুরেও কাজী পাড়ার এক নারীর উপসর্গ থাকার কথা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানানো হলেও কোনা লাভ হয় নি। ওই কর্মকর্তা জানান, বাড়িতে গিয়ে নমুনা আনা সম্ভব না। হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দেয়ার কথা জানান তিনি।

আরও পড়ুন: আখাউড়ায় শিক্ষা অফিসারসহ ২ সরকারী কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

 

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!