ব্রেকিং

x

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু, ১০০ দিনে শনাক্ত ১৭৫১, মৃত ২৮

সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০ | ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু, ১০০ দিনে শনাক্ত ১৭৫১, মৃত ২৮

বিশ্বজিৎ পাল বাবু:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সর্বপ্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১০ এপ্রিল। গতকাল রোববার পর্যন্ত ১০০ দিনে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫১ জনে। এর মধ্যে জুলাই মাসের ১৮ দিনেই রোগীর সংখ্যা হাজার ছড়িয়েছে। সর্বশেষ ৪০ দিনে মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে কয়েক গুণ। গত ১০ জুন পর্যন্ত মারা গেছে চারজন। পরবর্তী সময় তা বেড়ে হয়েছে ২৮ জন।


হিসাব করে দেখা গেছে, জেলায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে শুধু জুলাই মাসের ১৮ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৭৮৩ জন, গড় হিসাবে প্রতিদিন তা ৪৩ জন। জুন মাসে গড়ে প্রতিদিন ২৭ জন করে মোট ৮৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৮ জন। এর মধ্যে চলতি মাসেই মারা গেছে ৯ জন। সব মিলিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।


আরও পড়ুন: আখাউড়ায় স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার ট্রানজিটের প্রথম চালান যাবে ত্রিপুরা ও আসামে

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১৮ জুলাই পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬৯৮ জন। আইসোলেশনে আছে ৯৭৭ জন। এর মধ্যে জেলা নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছে ৫৩ জন। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৭০ জনের। এর মধ্যে ফলাফল পাওয়া গেছে ১২ হাজার ১২৪ জনের।

জেলার মধ্যে সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৫৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছে, আর মারা গেছে ৯ জন। সবচেয়ে কম ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছে বিজয়নগর উপজেলায়। এ উপজেলায় কেউ মারা যাননি। তবে নবীনগর ও আখাউড়া উপজেলায় মারা গেছে ছয়জন করে। এ ছাড়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তিনজন, কসবা, সরাইল ও নাসিরনগরে একজন করে মারা গেছে। আর আশুগঞ্জে ১২৪ জন আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যাননি।

আক্রান্তদের মধ্যে পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, সাংবাদিকও রয়েছেন। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ রোধে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার মতো লোকের অভাব পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মামুন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু উদ্যোগও মুখ থুবড়ে পড়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে ডক্টরস সেফটি চেম্বার, হাসপাতালে আগতদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও এগুলো এখন খুব একটা কাজে আসছে না। শুরুর দিকে বিভিন্ন মার্কেট, জনসমাগম হওয়া স্থানে হাত-মুখ ধোঁয়ার জন্য বেসিন বসানো হলেও এর ব্যবহার হচ্ছে না। যানবাহনগুলোতে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল নিশ্চিত করতে পারছে না প্রশাসন। করোনা হলেও লুকিয়ে রাখার প্রবণতাও রয়েই গেছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘মূলত অসচেতনতার কারণেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে মহামারির নিয়মই হচ্ছে বাড়ার পর কমে যাওয়া। যেসব জেলায় শুরুর দিকে কম ছিল সেগুলোতে এখন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আবার শুরুতে বেশি আক্রান্তের জেলাগুলোতে রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ আরো বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাট এখন আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। হাটে যেন স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সে বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের কঠোর নজরদারি থাকবে। এ ছাড়া হাটও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: আখাউড়ায় একজনের সংস্পর্শে ৮ জন করোনায় আক্রান্ত

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!