ব্রেকিং

x

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব কবির আহমেদ ভুইয়া।

রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ৭:১২ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছেন বিএনপি নেতা আলহাজ্ব কবির আহমেদ ভুইয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কসবা-আখাউড়া আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপি নেতা ব্যবসায়ি আলহাজ্ব কবির আহমেদ ভুইয়া। তিনি জানান, স্বাস্থসেবার জন্য জেলার মানুষকে বাইরে যেতে হবে না বরং দেশের মানুষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উন্নত চিকিৎসা নিতে আসবে। সহজ ও উন্নত চিকিৎসা সেবা বাস্তবায়নে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।


কবির আহমেদ ভুইয়া আরো জানান, স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি, দক্ষ চিকিৎসকসহ স্বাস্থসেবার আধুনিকতায় এই অগ্রগতিকে আরও দৃশ্যমান করে তুলেছে। তবে এখনো সাধারণ মানুষের জন্য মানসম্পন্ন ও স্বাস্থসেবাা সেবা সহজলভ্য নয়। উপযোগী পরিকল্পনার অভাব এবং চিকিৎসার তুলনায় অতিরিক্ত আবাসিক ব্যায়ের কারণে আধুনিক স্বাস্থসেবা সহজলভ্য হয়ে উঠছে না।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে কেবিন ভাড়া প্রতি রাত ৬ থেকে ১৫ হাজার টাকা, এমনকি তারও বেশি। অথচ প্রকৃত চিকিৎসা খরচ অনেক সময় এই আবাসিক ব্যায়ের চেয়ে কম হয়। ফলে চিকিৎসা গ্রহন সাধারণ মানুষের জন্য সহজ হয়ে উঠে না। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়ে, বিছানার অভাবে রোগীদের বারান্দা বা মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হয়। সঙ্গে থাকা স্বজনদের জন্যও নেই পর্যাপ্ত আবাসন, যা তাদেরকেও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রাখে।
তিনি জানান, এই পরিস্থিতির কারণে উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অনেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, ভারত ও থাইল্যান্ডসহ বিদেশমুখী হন। এমন বাস্তবতায় দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জনগণের আস্থা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পরিকল্পিত স্বাস্থ্যনগরী বা ‘হেলথ সিটি’ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি মনে করেন চেন্নাই মডেল এর পরিকল্পিত স্বাস্থ্যেও প্রতিচ্ছবি হতে পারে।
তিনি জানান, ভারতের চেন্নাই শহর একটি আদর্শ ‘হেলথ সিটি’র উদাহরণ। সাশ্রয়ী আবাসন, আধুনিক হাসপাতাল, এবং চিকিৎসাকেন্দ্রিক অবকাঠামো সেখানে দেশি-বিদেশি রোগীদের আকৃষ্ট করে। এটি প্রমান করে স্বাস্থসেবা কেবল চিকিৎসা নয় বরং একটি সমম্বিত পরিকল্পনার ফসল।


হেলথ সিটি জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন এর জবাবে তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বাংলাদেশের প্রথম ‘হেলথ সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলার পক্ষে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে, যেমন : পর্যাপ্ত খালি জমি ও কম খরচে অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভারতের সীমান্তবর্তী অবস্থান; আগরতলা, শিলং ও কলকাতা থেকেও রোগী আকর্ষণের সম্ভাবনা। আগরতলার আন্তার্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্ব। এই ভৌগোলিক ও অবকাঠামোগত সুবিধাগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আন্তর্জাাতিকমানের মেডিকেল হিসেবে রুপান্তরের বাস্তবতা এনে দিয়েছে।

আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভুইয়া বিশ^াস করেন, বিনিয়োগ, নীতিগত সহায়তা ও জনসচেতনতা এই উদ্যোগের মূল চালিকাশক্তি। তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে এই পরিকল্পনার পক্ষে জনমত গঠনের কাজ শুরু করেছে।
প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। এই জনসম্পদ যদি সম্মিলিতভাবে হেলথ সিটির উদ্যোগে যুক্ত হয়, তবে এটি শুধু একটি জেলার উন্নয়ন নয় পুরা দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের রুপান্তেেরর ভিত্তি হতে পারে।
সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার সমন্বয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের প্রথম স্বাস্থ্যনগরী, যেখানে চিকিৎসা হবে সাশ্রয়ী, সহজলভ্য ও আন্তর্জাতিক মানের।
সংকল্প ও ঐক্য থাকলে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার নতুন যাত্রা শুরু হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেই এটা এলাকাবাসীরও দাবি।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!