এতো দুর্ভাগ্য! নিয়তির এ কেমন পরিহাস! প্রতিবছরই এই পরিবারটিকে ২ ফেব্রুয়ারি দিনটির জন্যে ভয় নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এদিন তাদের পরিবারের কোনো একজন সদস্যের মৃত্যু হবে।
গত ৪ বছর ধরেই এটা যেন রুটিন। প্রতি বছরের এই দিনে পরিবারের একজন মারা যাবেন।
ভারতের বিহারের রাজধানী পাটনার ৯০ কিলোমিটর দূরের জেলা শমস্তিপূর। সেখানকার লক্ষ্মণীপুর মহেশপাত্তি গ্রামের বাসিন্দা পোখান রাম। প্রথম ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার এক স্বজনের মৃত্যু হয়। পরিবারটি কষ্ট পেলেও এটাকে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে হিসেবে মেনে নেয়। সামনের দিনগুলোর দিকে এগিয়ে যায় তারা।
ঠিক এক বছর পর পোখানের ভাই বেচান রামের মৃত্যু হয়। ঠিক ফেব্রুয়ারির ২ তারিখেই তাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩০ বছর।
শোক কাটিয়ে না উঠতেই এক বছরের মাথায় একই দিনে আবারো শোক আঘাত হানে। পোখানের বড় ভাই ফেকান রামের মৃত্যু হয় ৩৫ বছর বয়সে।
পরপর তিনটি ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে তিন স্বজনের মৃত্যু। পোখানের বাবা ৬০ বছরের সাখিন্দ্র রাম গত ২ বছরে ২ ছেলেকে হারিয়েছেন। এই বছরের একই দিনে হয়তো সবাই অপেক্ষা করছিল পোখানকে কেড়ে নিবে প্রকৃতি। সাখিন্দ্র রাম সন্তান হারানোর ভয়ে ছিলেন। তবে পোখানকে নির্মমতা সহ্য করতে হলো। এবার ২ ফেব্রুয়ারি পোখানের বাবা সাখিন্দ্রা রাম ত্যাগ করলেন ধরা।
পোখানের গলা ভেঙে আসে। কাঁদার শক্তিও বুঝি নেই। ভাঙা গলায় বলেন, আমরা জানিনা আগামী বছরের ২ ফেব্রুয়ারি কার জীবন কেড়ে নিবে।
এ কেমন ভাগ্য! একটা তারিখের এ কেমন নির্মমতা! গ্রামবাসী হতবাক, বাকরুদ্ধ। গ্রামের কাউন্সিল প্রধান বেনাজির বানো বলেন, এটা অত্যাশ্চার্য, তবে সত্যই ঘটছে।
তবে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কাউন্সিল প্রতিনিধি যুগেন্দ্র সিং বলেন, এটা দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়।
তথ্য সুত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com