ব্রেকিং

x

পাহাড়ের শান্তি বিনষ্ট করতে চায় রাজা দেবাশীষ

বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ

পাহাড়ের শান্তি বিনষ্ট করতে চায় রাজা দেবাশীষ
দেবাশীষ

আবারো উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে সবুজ শ্যামল স্নিগ্ধতায় ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে। আর এ নীলনকশার নটবর বর্তমান রাজা দেবাশীষ রায়, যার পিতা একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিরোধী প্রচারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানে বসবাসকারী তার পিতা রাজাকার ত্রিদিব রায় এবং তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজন যারা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছেন তারাও তাকে উৎসাহ ও নানাবিধ সহায়তা করে যাচ্ছেন। আমাদের পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে নানা কারণে আগ্রহী বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অপপ্রচারে দেবাশীষ রায়ের সম্পৃক্ততা নিয়ে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। তবে ১৯৯২ সালে তাইওয়ান যাওয়ার প্রাক্কালে হজরত শাহ জালাল (রহ:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) পার্বত্য চট্টগ্রামের পানছড়ির লোগাং-এ ১০ এপ্রিল ১৯৯২ তারিখে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ক্যাসেট, ছবি ও অনেক বিতর্কিত কাগজপত্র দেবাশীষ রায়ের নিকট হতে উদ্ধার করা হয়। দেবাশীষ রায় ১৯৯৮ সালে ‘টংগ্যা’ নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৯৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে বাঙালি বিদ্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য এনজিওগুলোর সমন্বয়ে হিল ট্র্যাক্ট এনজিও ফোরাম (এইচটিএনএফ) নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন তিনি। এর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি নিজেই। সংগঠনটির বাঙালি বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড এবং পাহাড়ে জাতিগত বৈষম্য তৈরিতে ভূমিকা রাখার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।পরবর্তীতে দেবাশীষ রায় একই উদ্দেশ্যে এএলআরডি নামে এইচটিএনএফ ’র সদস্যদের নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন। একইভাবে এইচটিএনএফ এর আদলে প্রতিষ্ঠা করা হয় এইচটিএনএন নামের আরো একটি সংগঠন। অভিযোগ রয়েছে, যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর ২০০৫ সালে নির্মিত ‘কর্ণফুলীর কান্না’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারীর পৃষ্ঠপোষক এবং ডকুমেন্টারীতে অন্যতম বক্তা ছিলেন দেবাশীষ রায় যা পরবর্তীতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাজা দেবাশীষ রায়ের সন্ত্রাসী বাহিনীর অপতৎপরতা পাহাড়ে নতুন নয়। বিলাইছড়ি ইউনিয়নের দুই মারমা তরুণীকে ধর্ষণের পর তার দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে সেনাবাহিনীর উপর। মূলতঃ পাহাড়ের শান্তি বিনষ্ট করতেই সংঘবদ্ধ কুচক্রী মহল এমন করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রাজা দেবাশীষ কট্টর বাঙালি বিরোধী। তিনি তার বাহিনীর একক ক্ষমতার দাপট দেখতে চান। আর এরই অংশ হিসাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামকে মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করে পৃথক রাষ্ট্র জুম্মল্যান্ড করার চেষ্টা করে আসছেন বহুদিন ধরেই। আর এই নীলনকশার পথে কাঁটা হল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাই এ বাহিনীকে কলংকিত করাই দেবাশীষের মূল লক্ষ্য। দেবাশীষ ও তার বাহিনীর সদ্স্যরা স্থানীয় বাঙালিদের দখলদার বলে ডাকে। এমন পরিবেশেও দেবাশীষের মতন মানুষের রাজার পদ আঁকড়ে থাকাকে অন্যায় মানছেন স্থানীয়রা। বর্তমান সরকারের নেয়া পার্বত্য শান্তি চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ে ফিরে এসেছিল শান্তি। কিন্তু তাকে স্থায়ী হতে দিতে চাচ্ছে না এসব কুচক্রী মহল। পাহাড়ে নিরাপদ ও শান্তির ঠিকানা পেতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এই রাজার বিরুদ্ধে।



আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!