খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা এখন করোনা আক্রান্তের হটস্পটে পরিণত হচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ জন। জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ উপজেলায় আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের পরিমান দাড়িয়েছে ১০০ জনে। সুস্থ্য হয়েছেন মাত্র ৬ জন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলা জুড়ে।
খবর নিয়ে জানাগেছে, গত ১৬ মে কসবা উপজেলায় প্রথম একজন মহিলার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। গতকাল বৃস্পতিবার পর্যন্ত ৩২ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০ জনে। পাশের উপজেলা আখাউড়ায় প্রায় তিন মাস আগে এপ্রিলের শুরুতে করোনা শনাক্ত হলেও এ পর্যন্ত মাত্র ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৫ জন। এই তুলনায় অল্প সময়ের ব্যবধানে কসবা উপজেলায় করোনা আক্রান্তের পরিমান আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ১০৫ জন করোনায় আক্রান্ত
স্থানীয়রা জানায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে কসবা উপজেলা প্রশাসন পৌরসভার আড়াইবাড়ি, সাহাপাড়া ও শীতলপাড়া এলাকা লকডাউন ঘোষণা করলেও সচেতনতা নেই সাধারন মানুষের মধ্যে। অবাধে চলাফেরা করছে মানুষ।
খোজ নেয়ার সময় আরো কয়েকজন সচেতন মানুষ জানায়, অনেক বিলম্বে নমুনা রিপোর্ট আসায় এখানে করোনা আক্রান্তের পরিমান বাড়ছে। নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট আসছে অন্তত ১০দিন পরে। নমুনা দেয়ার পর করোনা নেগেটিভ ও পজিটিভ সবাই অবাধে ঘুরছে, বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে যাচ্ছে। নমুনা দেয়ার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পারলে আক্রান্তের পরিমান কমতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে অনেকে আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: লকলাউনে বাংলাদেশে সন্তান জন্ম দিলেন ভারতের নারী, আখাউড়া দিয়ে সন্তানসহ ফিরলেন দেশে
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ উল আলম জানান, যেসব এলাকার লোকজন আক্রান্ত হয় তাদের বাড়ি এমনিতে লকডাউন করে দেয়া হয়। বেশী আক্রান্ত এলাকা পুরোটাই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনকৃত এলাকার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com