ব্রেকিং

x

আজ থেকে সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ

শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ | ১:৫৩ অপরাহ্ণ

আজ থেকে সারাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ

কোচিং সেন্টার খোলা পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া  হবে

আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আজ শুক্রবার থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকেও জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পরীক্ষাও বাতিল করা হবে। পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করতে হবে।


গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসএসসি পরীক্ষাসংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থাগুলোর পদস্থ প্রতিনিধিরা প্রশ্ন ফাঁস রোধে মতামত-পরামর্শ দেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সভায় শিক্ষা সচিব মো: সোহরাব হোসাইন বলেন, আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে সে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। যতবার প্রশ্ন ফাঁস হবে ততবারই পরীক্ষা বাতিল করা হবে। নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। কোনো পাবলিক পরীক্ষা ফাঁস হওয়া প্রশ্নে হতে দেয়া হবে না। পরীক্ষার পরও যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল হবে। কোনো অবস্থায়ই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আমরা খুবই ‘ডেসপারেট’- বেপরোয়া ও ‘অ্যাগ্রেসিভ’-আক্রমণাত্মক। কারণ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।
সভায় আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে মন্ত্রণালয়ের ১১টি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরীক্ষার্থীতে ৩০ মিনিট আগে প্রবেশ ও আসন গ্রহণ, পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব স্মার্টফোন ব্যবহার না করা, পরীক্ষার্থীকে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইজ ব্যবহার করতে না দেয়া, প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে না পৌঁছা পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তদারকি নিশ্চিত করা, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের ব্যান্ডেল না খোলা ইত্যাদি।
ফেসবুক ও সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরীক্ষা চলাকালে বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সভায় ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রশ্ন পাওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞাপন পাওয়া গেছে। এ বিজ্ঞাপনটির ব্যাপারে নজরদারি চলছে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ও সচিব টাকা লেনদেনের মাধ্যমগুলোর (বিকাশ, রকেট, শিওরক্যাশ) প্রতিও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। তাদের লেনদেন মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বন্ধ করার পর এ বছর থেকে আবার সব বোর্ডে একই এবং অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা চলবে। অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে ঝুঁকির বিষয় স্বীকার করে শিক্ষা সচিব বলেন, বিভিন্ন কারণে এ ঝুঁকিটা আমরা নিচ্ছি। বিভিন্ন বোর্ডে বিভিন্ন মানের প্রশ্ন হচ্ছে এমন অভিযোগ থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কারণেই সারা দেশে এক ও অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ঝুঁকি মাথায় রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং এ ঝুঁকি আমরা এবার নিচ্ছি। যদি কোনো কিছু ঘটে, পুরোপুরি পরীক্ষা বাতিল করব। কোনো অবস্থায়ই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে (যদি ফাঁস হয়) পরীক্ষা নেয়া হবে না। সচিব পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করে বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে কেউ যদি আনন্দিত হয়, তাহলে তার জন্য সংবাদ হচ্ছে, সে পরীক্ষাটি বাতিল হবে। সূত্র: নয়াদিগন্ত


আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!