সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা না রেখেই আখাউড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে বিল নেওয়া হচ্ছে। করোনা আইনের তোয়াক্কা করছে না অফিস কর্তৃপক্ষ। এতে করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে বলে সচেতন মানুষরা অভিমত প্রকাশ করেছেন।

বুধবার সরজমিন ঘুরে দেখা দেখা গেছে, দুপুর ১২টায় আখাউড়া পল্লী বিদ্যুত অফিসে বিদ্যুৎ বিল গ্রহনের কাউন্টারের সামনে মানুষ গিজ গিজ করছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে এত মানুষের ভিড়? আলাপ করে জানা গেছে, অনেকেই করোনার মধ্যে লগডাউনের কারণে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননি।

বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের চাঁপ দেওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে তারা এসেছেন। কাউন্টারের সামনে ৭০ বছরের বৃদ্ধ যেমন ছিলেন, তেমনি শিশু মহিলা যুবকও রয়েছেন। কিন্তু সবাই এমন ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়েছেন, যেন আখাউড়ায় করোনাভাইরাস নাই। অনেকের মুখে মাক্স নেই।

আরও পড়ুন:আখাউড়ায় বিনা নোটিশে ৫০ দেয়ালে পৌরসভার হাতুড়ির আঘাত

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কোনো উদ্যোগ নেয়নি আখাউড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। অফিস ঘুরে দেখা গেছে, এখানে হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা থাকলেও সাবান নেই। নেই স্যানিটাইজার। জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়নি। সামাজিক দূরত্বে দাঁড়ানোর জন্য গোল চিহ্ন দেয়নি বিদ্যুৎ অফিস।

কথা হয় আখাউড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আখাউড়া অফিসের ডিজিএম মো. আবুল বাশারের সঙ্গে। তিনি বলেন, লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে বলা হয় কিন্তু তারা কথা শুনেন না। অফিসে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে তিনি মাঠ পর্যায়ে বিল সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলেও জানান।

আরও পড়ুন: আখাউড়ায় মানুষের মুখে মাস্ক নেই, রাস্তার যত্রতত্রে গাড়ি পার্কিং, তীব্র যানজট

বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা এক গ্রাহক বলেন, বিল নেওয়ার ধীরগতির কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তার ফলে বাড়ছে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি। দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে এখান থেকে কারোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পাড়ে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়ায় দুই ফেসবুক লেখক জেলে