অল্প সময়ের ব্যবধানে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জাগরণ সৃষ্টি করেছে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি আখাউড়া। বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে শুরু করে দেশের বাইরেও এখানকার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে কৃতিত্ব অর্জন করছে। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই শিল্পকলা একাডেমি দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখানকার ঝিমিয়ে পড়া সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে জাগিয়ে তুলেছেন তিনি। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থী মনামীর বাবা কন্ঠ শিল্পী স্বপন কুমার রায় এই তথ্য জানান।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুজ্জামান এর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহন করছে মনামী রায়।
আজ বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থী মনামী রায় ও তার অভিভাবক মা ও বাবার সাথে কথা হয়।। মনামী রায় সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে কৃতিত্ব অর্জন করেছে। গত সোমবার রাত ৮টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের ’প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম’ নামে একটি অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির ৬জন শিক্ষার্থীর নৃত্য রেকর্ড করা হয়। আগামী রোববার দুপুর ২টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন তা সম্প্রচার করবে। এই ৬ জনের মধ্যে মনামী রায়ও রয়েছে।
উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থী মনামী রায় বলেছে, তাদের পুরো পরিবারটি একটি সংস্কৃতিক পরিবার। তার বাবা স্বপন কুমার রায় একজন কন্ঠ শিল্পী, মা দিশা রায়ও গান করে তাই সে সংগীতের প্রতি শুরুতে আগ্রহ ছিল। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভর্তির হওয়ার পর সে নৃত্যের প্রতি বেশী মনোযোগী হয়। নৃত্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মনামী রায় সংগীতের প্রশিক্ষনও নিচ্ছে। তবে মনামীর সাফল্য আসছে নৃত্য পরিবেশন থেকেই। মনামী রায় আরো বলেছে, নৃত্য ও সংগীত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্কুলের পড়াশুনায় সে বেশ মনোযোগী। আখাউড়া রেসিডেনসিয়াল স্কুলের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী মনামী রায় আচার ব্যবহারে চুপচাপ ও শান্তশিস্ট একটি মেয়ে।
বাবা, মা ও ছোট বোনের সাথে মনামী রায়।
মনামীর বাবা স্বপন কুমার রায় ও মা দিশা রায় জানায়, তাদের দুই সন্তানের মধ্যে মনামী রায় (১০) বড় সন্তান ও মনালী রায় (৫) ছোট। ওরা দুইজনই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থী। ছোট মেয়ে মনালী রায় নৃত্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ছোট মেয়ে নৃত্যের প্রতি বেশী আগ্রহী।
এদিকে স্বপন কুমার রায় আরো জানান, মনামীর কৃতিত্বের পেছনে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির অনেক অবধান রয়েছে। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামানের প্রচেষ্টায় তার কন্যা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বাবার অনুপ্রেরণার পাশাপাশি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের উৎসাহে তার মেয়ে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনামীর মা দিশা রায় জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি আখাউড়ায় প্রশিক্ষণের জন্য তিনি তার দুই মেয়েকে নিজেই নিয়ে যান।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com