ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমানের বিরুদ্ধে মৃত্যু সনদ দিতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আখাউড়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন এ অভিযোগ করেছেন।
কামলা উদ্দিন এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজকাল মৃত্যু সনদের জন্যও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে টাকা দিতে হয়! তাহলে টাকা দিয়ে মৃত্যুও কিনতে পাওয়া যায়?’ কামাল উদ্দিন ঘটনার বিচার দাবি করেন।
আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগর কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মো. কামাল উদ্দিন জানান, শাশুড়ির মৃত্যু সনদ আনতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. শফিউর রহমানের কাছে যান। যাওয়ার পর পরই ওনাকে বসতে বলা হয়। বিষয়টি জানানোর পর অপেক্ষায় থাকতে বলেন। এরই মধ্যে ওই চিকিৎসক একাধিক রোগী দেখেন। অনেকের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেন। কিছুক্ষণ পর আবার বিষয়টি অবগত করলে তিনি ফরমালিটি মেটটেইন করতে বলেন। ফরমালিটি বলতে টাকা দিতে হবে কিনা জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক বলেন এটা নিয়ম। এ নিয়ে তর্কাতর্কি করে কামাল উদ্দিন বেরিয়ে পড়েন।
তিনি জানান, কিছুদূর যাওয়ার পর আখাউড়া উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ও বিকল্প মেডিকেল সার্ভিসের পরিচালক মো. ফয়েজ আহমেদ বিষয়টি মিটমাট করে সনদ নিয়ে দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। আবার হাসপাতাল যাওয়ার পর ওই চিকিৎসা কর্মকর্তার সামনে ফয়েজ আহমেদ জানান সনদ বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডা. শফিউর রহমানের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি। সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কল করা হলে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে জানান।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com