আখাউড়া মনিয়ন্দ নোয়ামুড়া গ্রামের কিশোরী ধর্ষণ ঘটনায় ধর্ষক রবিউল গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ বলছে, ধর্ষণের ঘটনাটি মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আখাউড়া থানার এস আই ইউসুফ জানান, ধর্ষক এলাকা থেকে পালিয়েছে। আসামীর অবস্থান শনাক্ত করা হচ্ছে। যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাকে গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, ধর্ষিতা কিশোরী অসহায় দরিদ্র একটি পরিবারের সন্তান। অপরদিকে ধর্ষক রবিউল মনিয়ন্দ নোয়ামুড়ার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। তার বাবা কাউস মিয়া চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে বর্তমানে নারায়নগঞ্জ জেলহাজতে রয়েছেন। মাদক ব্যবসা করে বর্তমানে বহু অর্থের মালিক বনেগেছেন এই কাউস মিয়া। শুধু তাই নয় কাউসের বোন স্থানীয় ইউপি সদস্য বিনা বেগম ঘটনার দিন থেকেই কিশোরীর পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে তবে বিনা বেগম বলেছে সে কাউকে হুমকি দেয়নি।
খোজ নিয়ে আরো জানাগেছে, ধর্ষণ ঘটনার পর দিন ৫ই মে বিষয়টি আপোষ নিষ্পত্তি করতে স্থানীয় ভাবে চেয়ারম্যান কামাল ভুইয়া টনকী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সালিশি বৈঠক করেন। বৈঠকে ধর্ষণের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় ধর্ষককে। এই রায় তামিলের সময় দেয়া হয় এক মাস। এই সুযোগে ধর্ষককে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ধর্ষক নিরাপদ অবস্থানে চলে গেলে ধর্ষকের পিতা মাদক ব্যবসায়ী কাউস মিয়া উল্টো কিশোরীর বাবার নামে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেয় আদালতে।
ধর্ষিতার পিতা জানিয়েছেন সালিশি আর গ্রামের দেনদরবারের নামে সময় ক্ষেপন করেছে গ্রামের প্রভাবশালীরা। ধর্ষকের পিতা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতেই সময় ক্ষেপন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ৪ মে রাতে আখাউড়া মনিয়ন্দ নোয়ামুড়ায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে কিন্তু মামলা হয় গতকাল বৃহস্প্রতিবার বিকালে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com