আখাউড়া আমোদাবাদ হাই স্কুলের ৭ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র আহসান উল্লাহ (১৩) ফুসফুসে জিনগত জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুশয্যায়। ৫ মিনিটের বেশী শ্বাস নিতে পারছে না। কৃত্রিম উপায়ে তার শ্বাস প্রশ্বাস চলছে। শুকিয়ে গেছে শরীর। হাঁটাচলা বন্ধ। কথা বলার শক্তিও তেমন নেই। তার বাবা আখাউড়া খড়মপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল হোসেন তার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছেন সন্তানকে সুস্থ্য করে তুলতে। সন্তানের চিকিৎসা করতে গিয়ে এই পরিবার নি:স্ব প্রায়। চিকিৎসা করে নিজের অর্থ ফুরিয়ে গেলেও তার মেধাবী শিশু সন্তান আহসান উল্লাহ সুস্থ্য হয়নি। বর্তমানে অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া যাচেছ না। তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। তার বাবার পক্ষে চিকিৎসা খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আর পথ না পেয়ে সমাজের হৃদয়বান দানশীল মানুষগুলো সহায়তা চেয়েছেন তিনি। প্রবাসী ভাইদেরও সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি। কেউ এগিয়ে আসলে মেধাবী এই শিশুটি আমাদের মধ্যে বেচে থাকবে। সবাই মেধাবী আহসান উল্লার সুস্থ্যতার জন্য দোয়া করছেন।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, কিছুদিন আগেও মিষ্টি হাসিতে সরলতার ছাপ ছিল আহসান উল্লার মুখে, পড়াশুনার ফাকে ছোট ভাই বোনের সঙ্গে খুনশুটি আর খেলায় কাটে তার সারাবেলা। এরকম হাসিখুশি আর প্রাণবন্ত আহসানের জীবনে ভর করেছে নিস্তবদ্ধতা। বাবা মায়ের চোখের মনি আহসান জটিল রোগে আক্রান্ত। অন্য সব শিশুর মত স্বাভাবিক জীবনে নেই সন্তান। তাই দুশ্চিন্তার সীমা নেই মা ও বাবার। অসুস্থ্যতার জন্য ঢাকা বক্ষব্যাধী হাসপাতাল নয়ত বাড়ির চার দেয়ালেই বন্দী আহসান। তবে দুরন্ত শৈশবের স্বাদ নিতে চায় অন্য শিশুদের মতই। সামর্থবানদের একটু সহযোগীতা-সহমর্মিতাই ফিরিয়ে দিতে পারে তার শৈশব।
আহসানের বাবা শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, আহসান উল্লাহ ৫ম শ্রেণীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বর্তমানে ৭ম শ্রেনীতে তার রোল নম্বর-২। গত ৪ মাস ধরেই এই রোগে ভোগছে আহসান। তাদের বাড়ি আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ গ্রামের হাই স্কুলের পাশে।
আহসানের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা: ইকবাল হোসেন, একাউন্ট নম্বর: ১৪০১০০২০০৩৪২৮, সোনালী ব্যাংক, আখাউড়া শাখা, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com