আখাউড়ায় বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতারকৃত শেখ সোহেল রানার স্ত্রী প্রভাষক ফয়জুন্নেছা লিজা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ রোববার দুপুরে আখাউড়া শহিদ স্মৃতি সরকারী কলেজ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেকে ও স্বামীকে নির্দোষ দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, তার স্বামী শেখ সোহেল রানাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাকে ও তার স্বামীকে জড়িয়ে যে সব তথ্য প্রচার হয়েছে তাও সত্য নয়। তিনি আরো বলেন, আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আমলে তার নিয়োগ হয়নি। আনিসুল হক ২০১৪ সালে মন্ত্রী হয়েছেন কিন্তু তার নিয়োগ হয়েছে ২০১১ সালে। তাই তার নিয়োগের ক্ষেত্রেও কোন অনিয়ম হয়নি।
এদিকে খোজ নিয়ে জানাগেছে, গ্রেফতারকৃত শেখ সোহেল রানা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর নিয়মিত সরকারী সব ধরণের সভা সমাবেশে যোগদানসহ সাবেক মেয়র কাজল ও তার ভাই দানিছ খলিফার ঘনিষ্ঠজন হিসাবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করে। শহীদ স্মৃতি কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভায় তার উপস্থিতি ছিল সামনের সারিতে। যার ছবি ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
শেখ সোহেল রানার আপন ছোট ভাই প্রবাসী শেখ আরিফের স্ত্রী রুজিনা বেগম জানায়, তার ক্রয়কৃত ভুমি শেখ সোহেল রানা আওয়ামীলীগ সরকার আমলে জবর দখল করে গাড়ি রাখার গেরেজ বানিয়েছে। আওয়ামী সরকার আমলে শেখ সোহেল রানার ক্ষমতার দাপটে তার জমি উদ্ধার করতে পারেনি। প্রশাসন থেকেও সহযোগীতা পায়নি। আওয়ামীলীগ সরকার থেকে দেশ মুক্ত হওয়ার পর তিনি তার জমি উদ্ধারের জন্য আখাউড়া থানায় অভিযোগ করেছেন। এদিকে শেখ সোহেল গ্রেফতার হওয়ার পর আওয়ামীলীগের টেন্ডারবাজ হিসাবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও খবর প্রকাশ হয়। তবে শেখ সোহেল রানার স্ত্রী আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজের প্রভাষক ফয়জুন্নেছা লিজা তার স্বামী ও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com