ঈদের ছুটি কাটিয়ে মানুষ কর্মস্থলে ফিরছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রত্যেকটি ট্রেনের ভিতরে, ছাদে ও দরজায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষ ফিরছে কর্মস্থলে। নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন স্টেশন ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। বুধবার আখাউড়া গঙ্গাসাগর এলাকায় ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে দুই যুবকের মৃত্যুর পরও যাত্রীরা সর্তক হয়নি।
দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী কর্ণফুলী, ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী, বিকাল সাড়ে ৪টায় সিলেট-চট্টগ্রামগামী আন্ত:নগর পাহাড়িকা, ৫টার দিকে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রামগামী নাছিরাবাদ, সাড়ে ৫টায় ঢাকা নোয়াখালীগামী উপকুল এক্সপ্রেস নামে ট্রেন ৫টি আখাউড়া জংশন স্টেশন ছেড়ে যায়। একেকটি টেন আখাউড়ায় যাত্রা বিরতির পর হুড়োহুড়ি করে ওঠার চেষ্ঠা করছে মানুষ। বগির ভিতরে জায়গা না থাকায় ছাদে ওঠে পড়ছে যাত্রীরা। এই ৫ ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলনা না। জীবনের ঝুকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠেছে হাজারো মানুষ। ট্রেনের ভিতরে ও ছাদে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীদের ভিড় এতটাই বেশী যে দরজা দিয়ে ট্রেনের ভিতরে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। দরজাগুলোতে বাদুরঝোলা হয়েও মানুষ ফিরছে। প্ল্যাটফর্মে রশিদ মিয়া নামে এক নিরাপত্তাকর্মী ছাদে না উঠার জন্য মাইকিং করছেন কিন্তু কেউ কানে তুলছেন না। যে যার মত ট্রেনের ছাদে উঠছে কিন্তু নামছে না।
নিরাপত্তা কর্মী রশিদ মিয়া জানান, কেউ যেন ট্রেনের ছাদে ভ্রমন করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কিন্তু তারপরও মানুষ ছাদে উঠে পড়ছে। জোর করে নামাতে গেলে ছাদ থেকে পড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে তাই ছাদে না উঠার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে। বিভিন্ন ভাবে যাত্রীদের সর্তক করছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com