ব্রেকিং

x

৭১’ এ সন্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী

বুধবার, ০৫ মে ২০২১ | ১০:১০ অপরাহ্ণ

৭১’ এ সন্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক

৬ই মে ৭১ এর স্বাধিনতার ২ নং সেক্টরের সন্মুখ যোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। ব্রান্মনবাড়িয়ার জেলার আখাউড়া উপজেলার তারাগন গ্রামে ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি, মাত্র ১৭ বছর বয়ষেই লেখা পড়া চলাকালিন অবস্থায় ততকালিন ইষ্ট ব্যাঙল রেজিমেন্ট পাকিস্তান আর্মিতে যোগদান করেন,দেশের প্রতি মমতা যেন মায়ের মতো ছিল, ৬৬ ও ৬৯ এর গন অভ্যুত্থান এ সেনাবাহিনী থেকে প্রতিবাদ করেছেন এবং ভুমিকা রেখেছেন তিনি, বঙবন্ধুর আদর্শ লালন করেছেন আজীবন, বঙবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষন শুনে ব্যাপক অনুপ্রেরণা পেয়ে সিদ্ধান্ত নেই দেশের জন্য ঝাপিয়ে পরার, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকা সহ চট্রগ্রাম ক্যান্টনম্যান্ট এ পাকহানাদার বাহিণি যখন বাঙালির উপড় লক্ষ করে একের পর এক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তখনি আব্দুল খালেক সাহসিকতার প্রমান রেখে চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে আউট গেটে থাকা দুই পাকিস্তানি মেলিটারি পুলিশ বের হওয়ার জন্য বাধা দিলে কৌশল অবলম্বন করে বের হয়ে আসে খেয়ে না খেয়ে দেশের প্রতি পরম মমতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে প্রায় ১১ দিনে হেটে ব্রান্মনবাড়িয়ায় আসে তার স্ত্রী এক কন্যা ও পুত্র সন্তান কে নিয়ে রাতের আধারে পারি জমান আগরতলায় কামথানায় কোনাবন হেড কোয়ার্টার উদ্ধেশ্যে তার আগে তার স্ত্রী সন্তান কে স্বরনার্থী ক্যাম্পে রেখে ২ নং সেক্টরের, সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশারফ এর আন্ডারে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেন, অংশগ্রহণ করেন
সালদানদি, বেলুনিয়া, কসবা, শশিদল, আখাউড়া সহ ঝুকিপুর্ন স্থানে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গরে তুলেন সহকর্মীদের নিয়ে দির্ঘ্য নয় মাসে অনেক সহযোদ্ধাকে হারাতে হয়েছে এক দুই হাত মাটি কুরে নিজেই জানাজা পরে দাফন করেছেন নিজেও হাটুতে গুলি খেয়েছেন তারপরব অস্ত্র ছারেনি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে হানাদার মুক্ত করে দেশের মানচিত্র ছিনিয়ে নিয়ে আসছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।


এর পর যোগদান করেন বাংলাদেশ আর্মিতে ল্যান্সনায়েক হিসেবে ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এর দিন থেকে বঙবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মি হিসেবে নিযুক্ত হোন ১৯৭৩ এর জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তারপর বদলি হয়ে চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট এ আসেন ১৯৭৫ সালের বঙবন্ধুর স্ব পরিবারে হত্যার কথা শুনে ব্যাপক কেদেছিলেন এতো কাছ দেখা স্বাধিনতার স্থপতি কে এইভাবে হারাবেন কল্পনাও করেনি।
৭১ এর রণাঙ্গন এর বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব:আর্মি)ল্যান্সনায়েক আব্দুল খালেক দেশের প্রতি মহান মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্ধ ভুমিকার জন্য মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি সময়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে তাকে ৭টি পদকে ভুষিত করেন, ২ নং সেক্টরে সন্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে উপহার দিয়েছেন একটি মানচিত্র একটি পতাকা এই বীর সেনানির ২০২০ এর ৬ ই মে নিজ বাড়িতে পবিত্র রমজান মাসে বার্দ্ধক্য জনিত কারনে মৃত্যুবরন করেন অত্যন্ত স্বদালাপি ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হাজারো মানুষের ঢল নামে তার জানাজায় করোনার মদ্ধেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি চৌকশ দল, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পুলিশ এর একটি চৌকশ দল ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ স্থানীয় কমান্ডার্স ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সহপাঠী তিন দফায় যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং জানাজার মধ্য দিয়ে তাকে সমাহিত করা হয় তার নিজ গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে।


এইসব ইতিহাস লিখে রেখেছেন তার ছোট ছেলে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার সালমান মাহমুদ জসিম, তিনি বলেন আব্বার শেষ ইচ্ছে ছিল বঙবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার আশা আর পুরন হলোনা।

৬ ই মে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া ও এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরন করা হবে জানিয়েছেন তার সালমান মাহমুদ তিনি জানান যেহেতু করোনা পরিস্থিতিতে বড় কোন আয়োজনে না গিয়ে ছোট পরিষরে আব্বার জন্য দোয়া চেয়ে এইবার সারব, তার বিদেহী আত্বার মাগফেরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!