ব্রেকিং

x

৩৫ বছর পর বাবার সাথে দেখা হল ছেলের

শনিবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ | ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ

৩৫ বছর পর বাবার সাথে দেখা হল ছেলের

একটি দু’টি বছর কিংবা এক যুগও নয়, দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর পর বাবা-ছেলের মিলন হল যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে।
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত স্ত্রী অ্যানজুলির সঙ্গে বিচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গে তিন মাস বয়সী একমাত্র ছেলে জেইমির কাছ থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুনামগঞ্জের ছাতকের ছওয়াব আলী। টানা ছয় বছর কারাভোগের পর মুক্তি মিললেও হারিয়ে ফেলেন সন্তান ও সাবেক স্ত্রীর ঠিকানা। শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন যুগ পর আবারও মিলন হল তাদের।


পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ছওয়াব আলী ৩৬ বছর আগে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত তরুণী অ্যানজুলিকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের বছর দুয়েক পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও এরই মধ্যে এই দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেয় সন্তান জেইমি। কিন্তু ভাগ্যের বিড়ম্বনার শিকার ছওয়াব আলীকে জেল খাটতে হয় ছয় বছর। কারাভোগের পর অনেক সন্ধান করেও স্ত্রী-সন্তানের কোনো খোঁজ পাননি।


এদিকে, বিচ্ছেদের পর ছেলেকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে স্থায়ী হন অ্যানজুলি। জেইমিও বেড়ে উঠতে থাকে বাবার সাহচর্য ছাড়াই। পরে উচ্চশিক্ষা নিতে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমায় জেইমি। পড়ালেখা শেষ করে সেখানেই কর্মরত হন। ছোটবেলা থেকেই বাবার স্নেহবঞ্চিত হলেও রক্তের টানে বাবার সন্ধান চালিয়ে যেতে থাকেন জেইমি। একসময় জানতে পারেন, তার বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। জেইমি বছরখানেক আগে বাংলাদেশে সুনামগঞ্জের ছাতকে চলে আসেন বাবার খোঁজে।

ছওয়াব আলীর চাচাত ভাই মো. আবদুর রউফ জানান, ছাতকে গিয়ে বাবা ছওয়াব আলীর আত্মীয়-স্বজনদের খুঁজে পান জেইমি। স্বজনদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন বাবার বিভিন্ন তথ্য। জানতে পারেন, তার বাবা এখন বসবাস করছেন যুক্তরাজ্যের রচডেলে।

ছওয়াব আলীর ভাতিজা কাপ্তান মিয়া জানান, অবশেষে পিতা-পুত্রের মধ্যে যোগাযোগ হয় গত সপ্তাহে। ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার মা অ্যানজুলিকে নিয়ে ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে হাজির হন জেইমি। ছওয়াব আলীও রচডেলে থেকে স্বজনদের নিয়ে এসেছিলেন বিমানবন্দরে। ৩৫ বছর পর দেখা হওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাবা-ছেলে দুজনই। একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরেন তারা। এ সময় পাশে দাঁড়ানো জেইমির মার চোখে ছিল অশ্রু।

বিমানবন্দরে জেইমি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘বাবা আর পরিবারের আপনজনদের কাছে পেয়ে আমি বাকরুদ্ধ। আর কখনও আমি আমার বাবাকে হারাতে চাই না।’ সুত্র: যুগান্তর

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!