সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য সুভাষিনী আলি বলেছেন, ত্রিপুরাজ্যের সমস্ত গুন্ডা বদমাশ ভিড়েছে বিজেপিতে। সাংবাদিক হত্যাকারী বিজেপিতে সামিল হয়ে সেও এখন বিজেপির টিকিটে লড়ছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সালের ত্রিপুরায় দাঙ্গা, মানুষ খুন, মহিলাদের উপর ধর্ষণের কারিগর, ভোট লুটের কারিগর কংগ্রেসী গুন্ডারা সবাই এখন বিজেপিতে। তারা এখন নতুন মোড়কে ভোট চাইছে। এটা খাওয়ার জিনিস নয় ইচ্ছে করলেই রুচির পরির্বতন করলাম। এর সাথে জড়িত রয়েছে জীবন। ১৯৯৩ সালের পর থেকে ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার অন্ধকারের রাজত্ব থেকে ত্রিপুরাকে কোথায় এনে দাড় করিয়েছে ভাবতে হবে। গরিব মানুষের ত্রিপুরাকে আজ দেশের সামনে অন্যতম রাজ্যে পরিণত করেছে বামফ্রন্ট সরকার। শিক্ষায় কেরলকে পেছনে ফেলে দেশে ত্রিপুরা প্রথম।
গতকাল রোববার উদয়পুরের কাকড়াবন ও খিলপাড়ার দুইটি নির্বাচনী জনসভায় এই সব কথা বলেন তিনি।
সুভাষিনী আলী আরো বলেছেন, বিজেপির কাছে একমাত্র ভয়ের বিষয় হচ্ছে লালঝান্ডা। তারা জানে অন্য দলের লোক পয়সার বিনিময়ে ঝান্ডা পরিবর্তন করে কিন্তু লাঝান্ডার লোকেরা পয়সা কিংবা পুলিশের ভয়ে কারো কাছে মাথা নত করে না। লালঝান্ডার লোক গোটা দেশে গরিবের জন্য রাজ কায়েম করার লড়াই করছে। সেই জন্যই গোটা দেশের মানুষ, কৃষক, মজদুর, দলিত, আদিবাসী, মুসলিম, খ্রিষ্টান, মহিলারা তাকিয়ে আছে ত্রিপুরার দিকে। তারা দেখতে চাইছে ত্রিপুরার সংগ্রামী মানুষ ত্রিপুরার বুকে পদ্মফুলকে দাবিয়ে দিয়ে লালঝান্ডাকে কী করে আরও উপরে উঠাবার পথ দেখায়। ত্রিপুরায় লালের জোয়ার জানান দিচ্ছে অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার গঠন হবে, যা গোটা দেশের শ্রমজীবী মানুষের স্বৈরাচারী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে উজ্জীবিত করবে।
নির্বাচনী জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রতন কুমার, বাদল চৌধুরী, রতন ভৌমিক, রাজিব বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com