ব্রেকিং

x

ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস! ইহুদি লবিস্ট রিচার্ড বেনিন-দেবাশীষ রুদ্ধদ্বার বৈঠক

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১৮ | ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ

ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস! ইহুদি লবিস্ট রিচার্ড বেনিন-দেবাশীষ রুদ্ধদ্বার বৈঠক

একজন কথিত চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় ও অন্যজন ইহুদি জায়নবাদী মার্কিন লবিস্ট রিচার্ড বেনিন। দুজনেরই কাজের ধরন, প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য প্রায় একই। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিব্রত করে স্বার্থ হাসিল করা। উস্কানিমূলক তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নিরন্তর প্রচেষ্টায় লিপ্ত দুজনই। ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উপজাতীয় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কল্পিত নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে রিচার্ড বেনিন দেবাশীষ রায়কে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর দুঃখজনক হলেও সত্য তাদের এ ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমর্থন জুগিয়ে থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশ।

অতি সম্প্রতি গোপনে বাংলাদেশ সফর করে গেলেন বাংলাদেশে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত মার্কিন লবিস্ট রিচার্ড বেনিন। ২০০৩ সালে অবৈধভাবে ইসরাইল গমনের চেষ্টাকালে বাংলাদেশ বিরোধী স্পর্শকাতর ডকুমেন্টসহ যে বিতর্কিত সাংবাদিক সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে আটক করা হয়েছিল তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রিচার্ড বেনিন অন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর কল্পিত নির্যাতন নিয়ে অপপ্রচার চালানোর প্রধান হোতা। তিনি হিন্দুদের উপর কথিত নির্যাতনের ইন্টারভিউ নিয়ে “বাংলাদেশে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত আছে” বলে একটি বই লেখেন এবং এ সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও তৈরি করে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারণায় লিপ্ত ছিলেন। এছাড়া রিচার্ড বেনিনের পরিচালনায় www.interfaithstrength.com  নামে চরম বাংলাদেশবিরোধী একটি ওয়েবসাইট চালু আছে যেখানে বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র এবং ইসলামী উগ্রপন্থী ও জঙ্গিবাদীদের অভয়ারণ্য হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়।


জানা যায়, রিচার্ড বেনিন বাংলাদেশে এসেই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিকসহ তার এ দেশীয় দোসরদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে দেশ ত্যাগ করার পরপরই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের তৎপরতা সন্দেহজনকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর অংশ হিসেবে গত ১২ মার্চ হঠাৎ করে কোনরূপ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরে যান। সেখানে তিনি দেখা করেন আত্মস্বীকৃত রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের পুত্র রাঙামাটি সার্কেল চিফ ও কথিত চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের সাথে।


পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত সংঘাত রচনার রূপকার ও স্থানীয় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের মদদদাতা দেবাশীষ রায়ের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রায় এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বলে জানা গেছে, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিলও বটে। পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসকের সাথেও তিনি নিয়ম মেনেই সাধারণভাবে সাক্ষাৎ করেন এবং আলোচনা সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে জানালেও দেবাশীষ রায়ের সাথে সাক্ষাৎ ও আলোচনার বিষয়বস্তু বেমালুম চেপে যান। দেবাশীষ রায়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা বলা হলেও অন্য কাউকে প্রবেশ করতে না দিয়ে রুদ্ধদ্বার সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে তাই বিতর্ক ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে জনমনে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৪ সালেও রিচার্ড বেনিন যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন সেসময়ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন ও জঙ্গিবাদকে পর্দার অন্তরাল থেকে উস্কে দেয়া হয়েছিল। এছাড়া রিচার্ড বেনিন সেসময় দেবাশীষ রায়ের সাথে গোপনে সাক্ষাৎ করেছিলেন বলেও শোনা গিয়েছিল। তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসীদের তৎপরতায় পার্বত্য অঞ্চলও অশান্ত হয়ে উঠেছিল। সে কারণেই রিচার্ড বেনিনের গোপনে বাংলাদেশ সফরের পরপরই কূটনীতিকদের তৎপরতা বৃদ্ধি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কথিত রাজা দেবাশীষ রায়ের সাথে কূটনীতিক শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে রুদ্ধদ্বার বৈঠক একই সূত্রে গাঁথা কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন সচেতন মহল।

banglanewspost

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!