রাজধানীর সবুজবাগে স্বামীর পরকীয়ার কারনে শিশু সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন এক মা। নিহত মায়ের নাম শান্তনা বেগম (২৫) ও তার দুই বছরের মেয়ে মাহফুজার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশ সবুজবাগের আহমদবাগ মায়াকানন পানির পাম্পের পাশের টিনশেড বাড়ির দরজা ভেঙ্গে লাশ দুটি উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা স্বামীর পরকীয়ার কারণে মা শান্তনা বেগম তার শিশু কন্যাকে হত্যা করে নিজে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনায় নিহত শান্তনার স্বামী মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মামুন ওই এলাকার ডিশ লাইন ও ইন্টারনেট লাইনের কাজ করতেন। স্ত্রী, মেয়ে ও তার শ্যালিকাকে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতেন। এর মধ্যে শ্যালিকার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মামুনের। বিষয়টি স্ত্রী শান্তনা জেনে যাওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মামুন গত ২/৩ দিন আগে শ্যালিকা নিয়ে পালিয়ে যান। এই নিয়ে পরিবারের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। এক পর্যায়ে গত সোমবার রাতে মেয়েকে নিয়ে বাসায় ছিলেন শান্তনা। পরদিন সকালে ঘুম থেকে না জাগায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তাতে সাড়া না দেয়ায় জানালা ছিদ্র দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন শান্তনা ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে ঝুলে আছেন। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। শান্তনার লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিল। আর তার মেয়ের লাশ পড়ে ছিলো বিছানায়। ধারণা করা হচ্ছে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর শান্তনা আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে পলাতক মামুনকে গতকাল সন্ধ্যায় উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানাগেছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত শান্তনা ও তার মেয়ের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতদের স্বজনরা না আসায় তাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়নি। সুত্র: নয়াদিগন্ত
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com