বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তার সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনার ফলাফল স্বরূপ সারা দেশের প্রতিটি জেলার ২,০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে ।
সরকারের এই পরিকল্পনার প্রধান কয়েকটি উদ্দেশ্য হলো দেশকে বেকার মুক্ত করে গড়ে তোলা, দেশের প্রতিটি জেলার মানুষকে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং সেই সাথে ৯ টি বিদেশী ভাষা শেখার সুযোগ করে দেয়া । ল্যাবগুলো বাস্তবায়নের ফলে ২০১৮ সালের মধ্যে ৭০ হাজার প্রযুক্তিবিদ তৈরী হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে শুধু নেটওয়ার্কিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটবে না। এজন্য প্রয়োজন যথেষ্ট সুযোগ সুবিধার। এরকম সুযোগ সুবিধা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব। এই ল্যাবে কাজ করে একজন সাধারণ ছাত্রও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারবে।
ইতোমধ্যে কয়েক হাজার তরুণ-তরুণীকে ফার্স্ট ট্রাক ফিউচার লিডারের (এফটিএফএল) প্রশিক্ষণ, ১০ হাজার জনকে টপ আপ আইটি এবং ২০ হাজার জনকে ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ শুরু করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্নস্ট এ্যান্ড ইয়ং নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
সরকারের পরিকল্পনা মতে ২০১৮ সালের মধ্যে এই খাত থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে । তাই আইসিটি খাতকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করতে কম্পিউটার ল্যাব এর কোনো বিকল্প নেই। সারাদেশের ৬৪ টি জেলার কম্পিউটার ল্যাব বাস্তবায়নের ফলে দেশে ই গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের এই উদ্যোগের ফলে দেশের স্কুল পর্যায় থেকে তরুণ যুব সমাজ তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা পাবে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি খাতে একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com