টানা শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে গত ১৫ দিনে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় দগ্ধ হয়ে ১৩ নারী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক নারী ও পুরুষ। আহতদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী মারা গেছেন। এর আগের দিন রোববার রাত আটটায় দুজন এবং শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে আরো তিন নারীর মৃত্যু হয়। কয়েকদিন আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৫ দিনে সেখানে ১৩ নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার সদর থানার শাম্মি আখতার (২৭), একই জেলার পাটগ্রামের ফাতেমা বেগম (৩২) ও আলো বেগম (২২), রংপুরের কাউনিয়ার গোলাপি বেগম (৩০), নীলফামারীর রেহেনা বেগম (২৫), রংপুর নগরীর নজিবেরহাট এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪০), ঠাকুরগাঁও শহরের থানাপাড়ার আঁখি আক্তার (৪৫), রংপুরের জুম্মাপাড়া পাকার মাথার রুমা খাতুন (৬৫), রংপুর মাহিগঞ্জের চাঁন মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম (২৫), নীলফামারী সদরের সোনারাম গ্রামের আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মারুফা খাতুন (৩০), লালমনিরহাট জেলার রাজপুর গ্রামের শুকমনি (৭০), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জামেরন বেওয়া (৮০) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার হাসু বেগম (৬৫)।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটের সহকারী পরিচালক নূরে আলম জানান, ‘দগ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ জন। এখনও ৫৮ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর, এদের শরীরের ৫৫ থেকে ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আর ৫৫ জনের শরীরের প্রায় ৩০ থেকে ৫৫ শতাংশ পুড়েছে।’
তিনি জানান, বার্ণ ইউনিটে দগ্ধ হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর বেশির ভাগই নারী, বৃদ্ধ ও শিশু।
অন্যদিকে ওই বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. তউহিদ আলম জানান, এবারের শীতে ৬০ নারী ও শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। এদের হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে রোববার রাতে চিকিৎসাধীন ৩ জন এবং সোমবার সকালে একজনের মৃত্যু হয়। এর আগে আরো অগ্নিদগ্ধ ৯ জনের মারা যান। এছাড়াও আরো ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, সোমবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। সূত্র: নয়াদিগন্ত
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com