ব্রেকিং

x

যোগাযোগ খাতে সরকারের বিস্ময়কর অগ্রগতি

শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১০:১৮ অপরাহ্ণ

যোগাযোগ খাতে সরকারের বিস্ময়কর অগ্রগতি

বাংলাদেশ নিয়ে আগের চিন্তা-ভাবনা আর বর্তমানের বাস্তবতা পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের মনে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। তারা অবাক হয়ে বলেন, এটা কীভাবে সম্ভব! এত দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনকাঠামোর কথা শুনি আমরা। তাহলে এমন অগ্রগ্রতি কীভাবে সম্ভব! বাংলাদেশে যেন তাদের কাছে এক ‘প্যারাডক্স’।


রাজধানীসহ দেশের শহরগুলিতে ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপ সামলাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গড়ে উঠেছে উন্নয়নের মেগা প্রজেক্টের আওতায় দেশব্যাপী সড়ক, উড়ালসেতু, রেললাইন ও অন্যান্য অবকাঠামো।


রাজধানী ঢাকার যানজট কমানো এবং তাদের যাতায়াত সহজতর করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন। সে সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বিরতিহীন ট্রেন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চালু করেছেন তিনি। অত্যাধুনিক এই ট্রেনে সুখকর ভ্রমণও করতে পারবেন যাত্রীরা।

6-lane-flyover-on-Dhaka-Ctg-highway-e1501933508160-201712250537-180223071852

ইতোমধ্যে ফেনীর মহিপালে নির্মিত দেশের প্রথম ও একমাত্র ছয় লেনের ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই লেনের দৈর্ঘ্য ১৩৭০ মিটার এবং প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ মিটার। সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১১৬০ মিটার এবং ফুটপাথের দৈর্ঘ্য ২২১০ মিটার। ফ্লাইওভারটিতে রয়েছে ১১টি স্প্যান এবং ১৩২টি পিসি গার্ডার। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে, ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

সরকার সারাদেশের মহাসড়কগুলোকেই চার লেনে উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। গুরুত্ব অনুসারে এগুলার কাজ শুরু করা হচ্ছে। এদিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ককে চার লেনে রূপ দেওয়ার কথা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।

রাজধানীতে পাতালরেল এবং পুরো দেশে বুলেট ট্রেন চালুর পরিকল্পনাও সরকারের মাথায় রয়েছে। অবকাঠামো খাতের এই বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। সে সঙ্গে যাত্রীরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজভাবে যাতায়ত করতে পারবে। ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল উন্নত যোগাযোগের আওতায় চলে আসবে। ট্রেনে ঢাকা থেকে যশোর যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা মাত্র।

বর্তমান সরকার সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেলকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এই বিভাগকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে এর দ্রুত উন্নতি সাধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। রেলকে চারটি বিভক্তিতে ভাগ করা হলে এর দ্রুত উন্নতি সম্ভব হবে।

Rail-180223072016

এসবের কারণে মানুষ এখন বিশ্বাস করে সরকার ও দেশ সঠিক পথেই আছে। উন্নয়নের সাফল্যধারায়  বাংলাদেশ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে অনুসরণ করছে। এ দুটো দেশ দীর্ঘদিন একটা শক্তিশালী উন্নয়ন কাঠামোর ভেতর দিয়ে গেছে। সরকারের দূরদর্শিতা ও দক্ষ নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থেই উন্নয়নের একটি পরিষ্কার ও স্থিতিশীল পথে আছে।

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অবকাঠামোর যে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে, তা সত্যিই অভাবনীয়। এতে দেশের উন্নতিও ত্বরান্বিত হবে। যোগাযোগ খাতের বিস্ময়কর উন্নতি দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনসহ সামগ্রিক অর্থনীতির ভিত্তিকে আরো মজবুত ও অকম্পিত রাখবে।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!