সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে ও মৃত্যুকে ভয় না পেতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এশিয়ার সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানান তিনি। গত বুধবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর সামনে দেয়া শি জিনপিংয়ের একটি বক্তৃতার কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। চীনা সংবাদমাধ্যমে বক্তৃতাটিকে দেশটির সেনাবাহিনীর সামনে দেয়া বিরল বক্তৃতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
গত অক্টোবরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে কয়েক দশকের মধ্যে দলটির সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে নিজের অবস্থান জোরালো করেছেন শি। বার্তসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির একটি ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে কয়েক হাজার সেনাসদস্যের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় শি জিনপিং বলেন, ‘কষ্ট কিংবা মৃত্যুকে ভয় পাবেন না।’
অলিম্পিক নিয়ে সিউল-পিয়ংইয়ং আলোচনায় সম্মত
এএফপি ও বিবিসি
এ বছর অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিক নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আলোচনার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
পিয়ংইয়ংয়ের সাথে সম্পর্কের বিষয় দেখভাল করা সিউলের একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার এ কথা জানায়।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, উত্তর কোরিয়া শুক্রবার সকালে আমাদের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় জানিয়েছে যে, তারা আগামী ৯ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনার আশা করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, ৯ জানুয়ারির ওই বৈঠকে মূলত শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে উত্তর কোরিয়ার প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণের পথ খুঁজে বের করতে আলোচনা হবে। ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অলিম্পিকে প্রতিনিধিদল পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, অলিম্পিক ‘একতা প্রকাশের চমৎকার একটি সুযোগ’।
তার পরই এ বিষয়ে কথা বলতে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। ওই প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়া রাজি হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। সীমান্তবর্তী ‘পিচ ভিলেজ’ পানমুনজমে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজে) পানমুনজমের সুরক্ষায় দুই দেশের প্রচুর সেনা মোতায়েন করা আছে এবং দুই প্রতিবেশীর বড় ধরনের বৈঠকগুলো এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
কর্মকর্তাদের যোগাযোগের জন্য এরই মধ্যে টেলিফোনে একটি হট লাইন চালু করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পর এটাই দুই কোরিয়ার শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের প্রথম বৈঠক হতে যাচ্ছে। যদিও বৈঠকে কারা অংশ নেবেন তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। সেবার কায়েসং শিল্প এলাকায় দুই কোরিয়ার মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে দক্ষিণের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com