মানুষ মানুষের জন্য, মানুষের আপদে-বিপদে পাশে থেকে নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করাই মানুষের ধর্ম। একজন মানুষ, মানুষের বিপদে-আপদে, সমস্যা-সংকটে, দুর্যোগ- দুর্বিপাকে ছুটে এসে সাহায্য করবে— এমন প্রত্যাশা মানুষ মাত্রই করতে পারে। মানব জীবনের প্রাঞ্জল পরিপূর্ণতা আর তৃষিত চিত্তের তৃপ্তির জন্য সমাজের গরীব, অসহায়, ক্ষুধা-প্রপীড়িতদের জন্য কিছু করা দরকার। আমাদের সবারই কম বেশি সুযোগ রয়েছে মানবসেবায় মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার এবং স্বেচ্ছাসেবী ও আত্মত্যাগী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার। আমি, আপনি, এভাবে সকলেই এগিয়ে এসে সম্প্রসারিত করতে পারি সম্ভব সহযোগিতার হাত। দাঁড়াতে পারি বিপদে বিপন্ন বিপর্যস্ত মানুষের পাশে। ক্ষুধা লাগলে যেমন খাদ্যের প্রয়োজন তেমন জ্যোতির্ময় জীবন গড়তে শিক্ষার প্রয়োজন… যে শিক্ষা পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের অপরিহার্য শর্ত, শুদ্ধ বিবেকের অভিজ্ঞান। শিক্ষালোকের প্রদীপ্ত প্রভায় আলোকিত সুজন শুভার্থীরা সব সময় বলে থাকেন, মানুষ মানুষের জন্য। আরো বলেন, পৃথিবীর মধ্যে সব চেয়ে বড় আদালত মানুষের বিবেক। আমরা অনেক মানুষ আছি, আমাদের বিবেক আছে ঘুমিয়ে। সমাজে কিছু মানুষ আছেন যারা স্বপ্ন দেখেন, সচেতন ও সক্রিয় থাকেন সতত মানুষের কল্যাণে।
আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি বিভিন্ন ক্ষেত্রে। দায়িত্ব পালনই শেষ কথা! দায়িত্ববোধের পাশাপাশি জ্বালিয়ে রাখতে হবে মানবিকতার মশাল —– কুসুম কোমল মানবিকবোধ। তাহলে সন্দেহ নেই সাধারণ মানুষ মানবিকতার সুঘ্রাণে আমোদিত হবে, সাধিত হবে দেশ ও দশের কল্যাণ।
মানুষের জন্য মানবতা, মানবতার জন্যই মানুষ। মানবতাবোধে উজ্জীবিত হয়ে অসহায়, অত্যাচারিত, নিপীড়িত, নিগৃহীত এবং বঞ্চিত মানুষের উপকারে নিজেকে নিবেদিত করার এবং অন্যকে অনুপ্রাণিত করাই আমাদের ব্রত। শত শত বছর ধরে মানুষের জীবন বদলে দেয়া থেকে শুরু করে জীবনের নতুন অর্থ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে মানবকল্যাণকামী কর্মের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আমাদেরকে হতে হবে জনবান্ধব। অনেক বছর বেঁচে থাকলেই কেবল জীবন সার্থক হয় না। মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়। আমার, আপনার একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে যদি একটি প্রাণ বাঁচে; একজন মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখে— তাতেই হয়তো জীবন লাভ করতে পারে তার বাঞ্চিত চরিতার্থতা, সাফল্যের সার্থকতা। আসুন আমরা দায়িত্বশীলতার সাথে স্পন্দিত করি আমাদের বুক মানবিকতার তূর্য নিনাদে, উদ্বুদ্ধ হই নবতর চেতনায় দিনবদলের অঙ্গীকারে, সোনার বাংলা বিনির্মাণে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে সদাশয় সরকারের নানাবিধ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বর্তমান কন্টকময় করোনাকালেও মানবতা নিয়ে মানুষের কল্যাণে আমরা আছি, থাকবো সতত…
দূর হোক অজ্ঞতা, অস্বচ্ছতা, অমানবিকতার অন্ধকার,
আমাদের স্বপ্ন বিকাশমান বাংলার,
আমাদের স্বপ্ন সুস্হ আগামির, উজ্জ্বল শৈল্পিক সূর্যময়তার।
লেখক: এএইচএম লোকমান
যুগ্ম সচিব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com