চোখে দেখে না। অভুক্ত প্রায় মাসখানেক ধরে। এরপর স্ব-জাতীয়দের যন্ত্রণা। ঈগলটি প্রায় মরতেই বসেছিলো। মানব সেবায় সেই ঈগলটি এখন সুস্থ হয়ে উঠছে। খাবার খাচ্ছে। হাঁটছে। টুকটাক উড়াল দেয়ারও চেষ্টা করছে।
ঈগলটির সেবা দিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের বাসিন্দা ইকবাল আহমেদ খান। গাছপ্রেমি হিসেবে পরিচিত ওই ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা এখন ‘পাখিপ্রেমি’। দিনরাতের শুশ্রুষায় ঈগলটিকে সুস্থ করার চেষ্টা করছেন তিনি।
কথা বলে জানা গেল, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাড়ির কাছেই ঈগলটিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন ইকবাল আহমেদ। ঈগলটি চলাফেরা করতে পারছিলো না। তিনি এটিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শুশ্রুষা শুরু করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি ওষুধ দিচ্ছেন। প্রতিদিন মাছ ও মাংস খাওয়াচ্ছেন।
ইকবাল আহমেদ জানান, ঈদুল আযহার সময় থেকে তিনি এটিকে গাছে গাছে দেখছেন। অন্য পাখিরা এটিকে খুবই যন্ত্রণা দিতো। এটি এক জায়গাতেই বসে থাকতো। কিছু খেতেও দেখতেন না। মাটিতে পড়ে গেলে শিশুরা এটিকে নিয়ে খেলা করে বলে জানতে পারেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ওনার সামনেই পড়ে ঈগলটি। এরপর তিনি বাড়িতে নিয়ে এসে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি প্রথমে ঈগলের চোখের ওষুধ দেন।
তিনি আরো জানান, গত চারদিনে ঈগলটির অবস্থার উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে খেতে না চাইলেও এখন মুখে দিলে খাচ্ছে। দুপুরে তীব্র রোদের সময় এদিক ওদিক হাঁটাহাটিও করে। মাঝে মাঝে উড়াল দেয়ারও চেষ্টা করে।
মো. ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘এভাবে হয়তো ঈগলটিকে বাঁচানো কষ্টসাধ্য হবে। আমি চাই সংশ্লিষ্ট কেউ যেন এসে ঈগলটিকে নিয়ে যায়।’ এ বিষয়ে লেখালেখি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের আহবান জানান তিনি।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com