ত্রিপুরার অসমাপ্ত ৭৫ কিলোমিটার সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নির্মান করবে ভারত। মাদক পাচাররোধে কাটা তারের বেড়ায় থাকবে সিসি ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরা রাজ্যে স্থাপন হবে ইউরিয়া সার কারখানা। দুদিনের দিল্লি সফর শেষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলার মহাকরনে এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপুরারাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেছেন, ত্রিপুরারাজ্য বরাবর বাংলাদেশ-ভারতের যেসব স্থানে কাটাতারের বেড়া নেই এসব এলাকা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ মাদক ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়। এজন্য প্রতিবেশী বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ অখুশি। এই অবৈধ পাচার বন্ধের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এপিল মাসে ত্রিপুরা রাজ্যে এসে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। যে সব এলাকায় এখনো কাঁটাতারের বেড়া হয়নি সেই সব এলাকার জিরো পয়েন্টে বেড়া করা হবে। যাতে সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে দিয়ে পাচার করতে না পারে। সি সি ক্যামেরা লাগানো হবে যাতে পাচারকারীকে চিহ্নিত করা যায়। দ্রুত সীমান্ত সড়কের সংস্কার করা হবে। এজন্য ভারত সরকার অর্থ দেবে।
মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরা রাজ্যে একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের জন্য ভারত সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে প্রচুর ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে তাদের চাহিদা পূরণের জন্য তারা কাতার থেকে সার আমদানি করে। ত্রিপুরা রাজ্যে সার কারখানা হলে এ বাজার সহজে ধরা যাবে এবং তাদের উৎপাদিত ফসল রাজ্যে আনা যাবে। এ বিষয়েও একটি প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে পণ্য নিয়ে যে সব ট্রাক ত্রিপুরায় আসে সেগুলো আখাউড়া সীমান্ত হয়ে ওয়ার হাউসে যেতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা ও আদিবাসী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মা।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com