বাংলাদেশ অবশেষে মহাকাশে স্বীয় অস্তিত্ব স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ আগামী মার্চ মাসেই উৎক্ষেপিত হবে মহাকাশের পথে যা কিনা দেশের জন্য বয়ে আনতে যাচ্ছে বিরল সম্মান এবং গৌরব। এই স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের যেমন নির্ভরতা কমবে অন্য দেশের উপর তেমনি দেশের অভ্যন্তরীন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর এ নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা চুক্তি করে থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে যাতে খরচ ধরা হয় ৩ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। পাঁচ বছরের ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উপগ্রহ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে প্রতিষ্ঠানটি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ রয়েছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার যার মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ডের এবং ১৪টি সি-ব্যান্ডের। ওই ট্রান্সপন্ডারগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। বাকিগুলো ব্যবহৃত হবে বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে। এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরে
পাশাপাশি এ স্যাটেলাইট স্থাপনের ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আসবে যুগান্তকারী পরিবর্তন। ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আগে থেকে জানা যাবে যা উপকূলবাসীদের নিরাপত্তায় দিবে বাড়তি সুরক্ষা। এছাড়াও অভ্যন্তরীন টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে আগের থেকেও মজবুত। যে কোনো জরুরি বা দুর্যোগকালীন সময় এ স্যাটেলাইটের ফলে মিলবে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সেবা। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতি এবং প্রগতির দিকে। মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের মাধ্যমে সে যাত্রা এগিয়ে যাবে আরো একধাপ। জনগণের বিশ্বাস উন্নতির এমন ধারা অব্যহত থাকলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে অন্য দেশগুলোর জন্য রোলমডেল।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com