করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল বা জেলা সদর হাসপাতালটিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ওই সভায় জানানো হয়, আর সদর হাসপাতালের কার্যক্রম জেলা সদরের ঘাটুরাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। এটি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সূত্র মতে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর ফলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালটিতে শুধুমাত্র করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলা সদর হাসপাতালকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এজন্য সদর হাসপাতালের কার্যক্রম আমার এখানে স্থানান্তরের ব্যাপারে প্রস্তাব দেয়া হয়। আমার আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও সবদিক বিবেচনা করে প্রস্তাবে রাজি হয়েছি। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ে লিখিত আকারে প্রস্তাব পাঠানোর পর অনুমোদন দিলে এবং যদি পরিস্থিতি খারাপ হয় তাহলে হাসপাতালের কার্যক্রম স্থানান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। সেজন্য বড় একটি হাসপাতালকে করোনভাইরাসের চিকিৎসা কেন্দ্র করার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ছোট-খাটো ক্লিনিকে সদর হাসপাতালের কার্যক্রম স্থানান্তর সম্ভব নয়। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিকে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর অনুমোদন পেলে কার্যকর হবে। সদর হাসপাতালটিকে প্রস্তুত করার জন্যও অনেক আয়োজনের বিষয় আছে। সেগুলোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ জন। এর মধ্যে তিন রোগী মারা গেছেন। বাকিরা জেলা সদরের বক্ষব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com