প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর উদ্বোধন করছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তিনি প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়ার পর জেলার নয় উপজেলার ১০৯১ জন উপকারভোগির মাঝে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল বুঝিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম দফায় ১০৯১ জন বাড়ি পেয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলা ৩২, বিজয়নগরে ১০০, সরাইলে ১০২, নবীনগরে ৪৮৫, নাসিরনগরে ৯১, বাঞ্ছারামপুরে ৬৪, আশুগঞ্জে ৬৮, কসবায় ১০৪ ও আখাউড়ায় ৪৫ গৃহহীন পরিবার পেলেন মাথা গোঁজার ঠাঁয়।
আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা সদরে সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরি উপস্থিত ছিলেন।
নিজেকে ভিক্ষুক পরিচয়দানকারি মাজেদা বেগম নামে আখাউড়ার এক উপকারভোগি বলেন, ‘আমি মুহুরির মাইয়া। বালাই চলচিলাম। জামাই মারা যাওনের পর সব শেষ। দুই মাইয়া আর এক পুলা কেই দেহে না। আমারে জি-পুত না শেকের বেডি দেকছে। আমারে গর বাড়ি দিছে। মরলেঅ এই গর শেকের বেডির নামে দিয়া জামু।’
বৃদ্ধ বয়সি আইয়ুব আলী বলেন, ‘দুইজনই অচল। মাইয়া বিয়া দিয়াও শান্তি নাই। অহন তাহনের একটা ব্যবস্থা অনল। হাসিনা মা আমডারে গর দিছে। আল্লাহ্র কাছে মা’র লাইগ্যা তার পরিবারের লাইগ্যা দোয়া করি।’
দুই শতক জায়গার উপর একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। ভিক্ষুক, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, রিকশা চালক, ফেরিওয়ালা, অটোরিকশা/ভ্যান চালক, পাহারাদার, জেলে, চায়ের দোকানদার, শ্রমিক, কাঠমিস্ত্রী, গৃহকর্মী, ইমাম, আশ্রিত, বিক্রয় কর্মী রয়েছেন। ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক গৃহহীনকে ঘর দেয়ার কথা বলেছিলেন।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com