ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিত্তশালী সন্তানদের অযত্ন আর অবহেলায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে ইয়াছিন মাষ্টার (৬২) নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক। পাকা ঘরবাড়ি, ধানের জমি এবং পেনশনের সব টাকা কৌশলে লুট করে পালিয়েছে তার তিন ছেলে সোহেল মিয়া (৪০), আহসানুল হক সাহেল (৩৮) ও রাসেল মিয়া (৩৫)। ইয়াছিন মাষ্টারের চিকিৎসার জন্য জরুরী সাহায্যের প্রয়োজন। আজ মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন খোজ নেয়ার সময় এই তথ্য জানাগেছে। আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুরপহেলা গ্রামে এই ইয়াছিন মাষ্টারের বাড়ি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল আওয়াল ও প্রতিবেশী কয়েকজন জানায়, ইয়াছিন মাষ্টারের মেয়ে নেই, স্ত্রী মারাগেছে আগেই। তিন পুত্র সন্তানের কথা ভেবে আর বিয়ে করেনি। সন্তানদের লালন পালনসহ লেখাপড়া শিখিয়ে স্বাবলম্বী করেছে। ছেলেরা বিয়েও করেছে। অবসর গ্রহনের পর তিন ছেলে কৌশলে তার পাকা বাড়িঘর, ধানের জমি ও পেনশনের সব টাকা নিয়ে যায়। পরে ব্রেইন স্ট্রোক করে ইয়াছিন মাষ্টার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ছেলে ও ছেলের বউরা চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করে। চিকিৎসার জন্য তার সম্পত্তি ফেরত চাইলে ছেলে আর ছেলের বউরা শয্যাশায়ী ইয়াছিন মাষ্টারকে ফেলে রেখে পালায় কিন্তু সাহেলের বউ মিনা বেগম শ্বশুরের পাশে দাড়ায়। শ্বশুরের সেবাযত্ন করায় মিনা ছেড়ে সাহেল দ্বিতীয় বিয়ে করে মিনাকে রেখে সেও পালিয়ে যায়। বিনা চিকিৎসা আর সন্তানদের অযত্ন অবহেলায় ইয়াছিন মাষ্টার এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছে। তার শরীরের মাংশ পড়ে পোকা ধরেছে। একমাত্র মিনা বেগম এসব পরিস্কার করছে, যত্ন করছে শ্বশুরের পাশে থেকে কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না।
মিনা বেগম জানায়, গত ৮ বছর ধরে ঘরের কিছু মালামাল ছিল বিক্রয় করে শ্বশুরের চিকিৎসা করেছে সে। তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে কোনক্রমে চলছে। শ্বশুর তার শিক্ষক ছিল তাই মায়া ছাড়াতে পারেনি। শ্বশুরের সেবাযত্ন পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে। তিনি আর পারছে না। জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন। ইয়াছিন মাষ্টারকে বাচাতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
সাহায্যের জন্য ইয়াছিন মাষ্টারের পুত্রবধু মিনা বেগমের সাথে যোগাযোগের ফোন বা বিকাশ নম্বর-০১৭৪২৫১৯০০৭। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আখাউড়া শাখা, হিসাব নং-১২৬৯৯
-একজন শিক্ষককে বাচাতে নিউজটি শেয়ার করুন
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com