ব্রেকিং

x

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শারিরিক সম্পর্কের পর প্রেমিকের সবকিছু অস্বিকার

শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ | ৯:০১ পূর্বাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শারিরিক সম্পর্কের পর প্রেমিকের সবকিছু অস্বিকার

ফেসবুকে পরিচয়, পরে নানা ধরণের সুখ দু:খের কথা ও ভাবের আদান প্রদান। এরপর ভালোলাগা থেকে সোজা দু’জনের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া। এক পর্যায়ে শারিরিক সম্পর্ক। শেষমেশ সবকিছু অস্বীকার করে প্রেমিকার সঙ্গে যোগযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রেমিক। তবে প্রেমিকাও ছাড়ার পাত্রী নয়। গত ১৫ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে দিয়েছে প্রেমিকা।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা মো: সিরাজুল খানের (২৭) বিরুদ্ধে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন তার প্রেমিকা। প্রেমিকার পরিবার ও ডায়রি সুত্রে জানাগেছে, ফেসবুকে শেরপুর এলাকার আবুল কালাম খানের ছেলে সিরাজুল খানের সঙ্গে পরিচয় হয় শহরের বাগানবাড়ি এলাকার এক তরুণীর। সেই পরিচয় সূত্র ধরে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিরাজুল এই তরুণীকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এক পর্যায়ে এই তরুণী সিরাজুলকে বিয়ের কথা বললে তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর এই তরুণী সিরাজুলের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে এই তরুণী মাসহ অন্য অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে গিয়ে বিয়ের দেয়ার জন্য সম্মত হয় এবং সিরাজুলও বিয়ের জন্য রাজি হন বলে ডায়রিতে উল্লেখ্য করা হয়। কিন্তু বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করার পর সিরাজুল ও তার পরিবারের লোকজন বিয়ে হবে না বলে জানিযে দেন। এ ঘটনার পর এই তরুণী শারিরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সালিশ-বৈঠক হলেও কোনো সমাধান আসেনি। সর্বশেষ গত ৯ জুলাই বিকালে এই তরুণী সিরাজুলের বাড়িতে গিয়ে আবার বিয়ের কথা বললে তিনি সব সম্পর্ক অস্বীকার করেন এবং তরুণী ও তার পরিবারের লোকজনকে গালমন্দ করেন। একইসঙ্গে এই তরুণীর ছবি-ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেন।


এই তরুণী অভিযোগ করেন, সিরাজুলের কারণে তার মান-সম্মান সব গেছে। এলাকাবাসী সবাই জানে সে সিরাজের বউ। এখন তার সঙ্গে যদি বিয়ে না হয় সে আর মুখ দেখাতে পারবে না। তার মরণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও অভিযোগে জানান। তরুণী আরো বলেন, সে একটা আশাতেই বেচে আছে, সিরাজ তাকে বিয়ে করবে, সিরাজের বউ হবে।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সিরাজুল খানের মোবাইল ফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাবা আবুল কালাম খানকে ফোন করলে রিসিভ করেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাধারন ডায়রির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বলেন, ডায়রির বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!