ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া, কালাইশ্রীপাড়া, ৫ নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া এবং ৮ নং ওয়ার্ডের কাজিপাড়া এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমিত আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৩ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ৪ নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া, কালাইশ্রীপাড়া, ৫ নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া এবং ৮ নং ওয়ার্ডের কাজিপাড়া এলাকাকে লকডাউন করা হয়।
বলা হয়, ওইসব এলাকা থেকে লোকজন অন্য ওয়ার্ডে, গ্রামে, ইউনিয়ন যেতে পারবে না এবং অন্য ওয়ার্ড, গ্রাম,ইউনিয়ন থেকে লকডাউন ভুক্ত ওয়ার্ড গুলোতে যেতে পারবে না। কিন্তু প্রথম দিন থেকেিই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভায় অবস্থিত সড়ক বাজার, আনন্দ বাজার, জগত বাজার খাল পাড়, লাখি পট্রি, ছাতি পট্রি, কোর্ট রোড, মসজিদ রোড, টি এ রোড এই সকল মার্কেট খোলা থাকায় ওই দোকানের লকডাউন এলাকার মালিক-কর্মচারিরা ঠিক বের হচ্ছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন ও চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। তাদের এই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা এবং চাকরিতে যোগ দান করায় লকডাউন মুক্ত অন্য ওয়ার্ডের, গ্রামের, ইউনিয়নের লোকের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। যার ফলে প্রশাসন যেই লক্ষ্য ওয়ার্ড ভিত্তিক লকডাউন দেই তার সুফল না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় হাওড়ানদীর ভাঙ্গনে বিলীন ৫ বাড়ি, ঝুকিপুর্ণ ১৩ পরিবার
অন্য দিকে একই মার্কেটের রাস্তার এক পাশ লকডাউন ভুক্ত এলাকায় এবং অন্য পাশ লকডাউন মুক্ত এলাকায় থাকায় একই মার্কেটের রাস্তার এক পাশ বন্ধ আরেক পাশ খোলা ছিল। এক পাশের দোকান খোলা থাকায় সকাল থেকে এই বিভিন্ন এলাকার মানুষ লকডাউন ভুক্ত এলাকায় এসেছে। তাছাড়া এক পাশ খোলা আরেক পাশ বন্ধ থাকায় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন যে হয় দুইপাশের মার্কেট বন্ধ বা খোলা যে কোনো একটা সিদ্ধান্ত যেন নেন।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com