ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। তবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আজ মঙ্গলবার ভোর রাত পৌনে ৩টায় কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। সিগনাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তুর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্ত:নগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন এবং কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ২ জন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন মারা যান।
এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু কথা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান। এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুই ট্রেনের শতাধিক যাত্রী। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক নম্বর লাইনে ঢুকছিল। তুর্ণা নিশীথাকে আউটারে থাকার সিগনাল দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগনাল অমান্য করে মূল লাইনে ঢুকে পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার কোনো দোষ নেই।
এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন দুইটির উদ্ধার কাজ করছে আখাউড়া রিলিফ ট্রেন। রিলিফ ট্রেন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন বলে রিলিফ ট্রেন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com