সাধারণ মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির মুন্সীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ও সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. সোহেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন নাসির মুন্সী। অন্য আরেকজনের ফোনে কথা বলার সময় অন্য প্রান্ত থেকে বলা হয় নাসির ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তখন কোন নাসির জানতে চান সোহেল। পরিচয় জানতে চাওয়ার পর নাসির ফোনে বলেন, ‘এই তুমি কি আমারে চিনো না। তো জিগাও কেরে কোন নাসির। ঠ্যাং ডি যহন ওপরে উডায়া বাইরামু তহন চিনবে তর বাফেরে। এই হেরে দইরা লয়া আয়। হেরে আমি ফাইরা লামু। এই তুই কই। রাইতের মইদ্যে তরে অ্যারেস্ট করামু। আসামি দিছি তরে।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নোমান মিয়াসহ কয়েকজন জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে নাসির মুন্সীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নাসির মুন্সী বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা চাচ্ছেন। এমনকি টাকা না দিলে হুমকিও দেন তিনি। এ অবস্থায় জেলা নেতৃবৃন্দ এক চিঠিতে নাসির মুন্সীকে এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেন। নাসির মুন্সী এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সোহেল নামের এক মেম্বারকে দুই-চার কথা বলায় আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে সোহেল বিএনপির। আসলে তিনি আওয়ামী লীগের লোক। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপিসহ নেতাকর্মীদের অনেক ছবি আমার কাছে আছে। ওই মেম্বারের কিছু অনিয়ম ও আমার ভাগিনার সঙ্গে সমস্যার কারণে তাকে আমি কিছু কথা বলেছি। এখন আমার দলের স্থানীয় কিছু নেতা ইন্ধন দিয়ে আমাকে বহিষ্কার করিয়েছে। জেলার নেতারা যা ভালো মনে করেছে তাই করেছে।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com