আজ শনিবার আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপির বড়বোন প্রয়াত সায়মা ইসলামের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদ আসর ঢাকার গুলশান আজাদ মসজিদে এই মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি তার বোনসহ পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের জন্য দোয়া কামনা করে এক পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি একজন হতভাগ্য মানুষ। গত বছর আমার একমাত্র ছোট ভাই আরিফুল হক রনিকে হারিয়েছি এবং এ বছর একমাত্র বোন সায়মা ইসলামকে হারালাম।’ পরে আইনমন্ত্রী দোয়া অনুষ্ঠানে আগতদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
দোয়া অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি তারিক উল হাকিম, বিচারপতি কামরুল ইসলাম মোল্লা ও বিচারপতি মামনুন রহমান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, অধঃস্তন আদালতের বিচারক, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড, আনিসুর রহমান ভুইয়া, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, আইনমন্ত্রীর এপিএস ও কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট রাসেদুল কাউছার ভুইয়া জীবন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তরফদার, আখাউড়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ ভুইয়া বাদল, আইনমন্ত্রীর পিও শফিকুল ইসলাম সোহাগ, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: মানিক মিয়া, রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি আব্দুল মমিন বাবুল, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু, জুটন বনিক, জালাল হোসেন মামুনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আইনমন্ত্রীর বোনের কুলখানি অনুষ্ঠানে কসবা ও আখাউড়ার নারীনেত্রী, নারী আইনজীবী, নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট উম্মে শবনম মোস্তারী মৌসুমী, আখাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা বেগম পিওনাসহ কসবা উপজেলার নারীনেত্রীদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এই কুলখানিতে।
১৪ জুলাই দিবাগত রাত একটার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়মা ইসলাম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং পরদিন রবিবার বিকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন কিডনি রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি স্বামী ও একমাত্র ছেলে ব্যারিস্টার শেখ মো. ইফতেখারুল ইসলাম সৌরভসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আনিসুল হকের বাবা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী মরহুম অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক। সায়মা ইসলাম আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের একমাত্র বোন ছিলেন। তার একমাত্র ছোট ভাই আরিফুল হক রনি ২০১৭ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে মারা যান। মন্ত্রীর মা জীবিত আছেন।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com