সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছেন, ত্রিপুরায় নিজেদের শক্তির জোরে যখন হচ্ছেনা তখন আইএফটিকে সঙ্গে নিলো বিজেপি। যারা ত্রিপুরারাজ্যকে ভাগ করার আওয়াজ তুলে আগুন জ্বালাতে চায়। আসলে ওরা বিভেদ সৃষ্টি করে দেশের মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের দাবীগুলো থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে চায়। দাঙ্গা লাগাতে চায় পাহাড়ী-বাঙ্গালী-হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে।
গতকাল শুক্রবার ধনপুরের জগতরামপুর, দক্ষিণ মহেষপুর, রাখাইয়ার চর, মাছিমার, ধনপুর পূর্বপাড়া নামক ৫টি জনসভায় তিনি এই সব কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আরো বলেছেন, বিজেপির তার নিজের রাজ্যে গুজরাটে হারতে হারতে জিতেছে। রাজস্থানে নিজেদের পরস্পরগত তিনটি আসনের উপ-নির্বাচনে গোহারা হেরেছে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে, অসত্য কথা বললে, শান্তি ভাঙ্গলে, ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরী করলে এই হয়। পচন শুরু হয়েছে। একে আর রক্ষা করতে পারবে না বিজেপি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। ছোট্র ত্রিপুরা দিল্লীতে ভূমিকম্প তৈরী করেছে। দিল্লী এখন কাপছে। তিনদিন ধরে পত্রিকায় বেরোচ্ছে, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১১,৫০০ কোটি টাকা জালিয়াতি যিনি করেছেন যার পদবীও প্রধানমন্ত্রীর মতোই, যাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরেও যান, তার বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশীট দেবার পরেও প্রধানমন্ত্রী চুপ। এই বিজেপির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার দিশা দেখানোর কাজ শুরু হবে ত্রিপুরা থেকেই। আরও বেশী ভোট, আরো বেশী আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের জয়ী করে ত্রিপুরার উন্নয়ন, অগ্রগতি বহাল রাখুন। দেশকেও উত্তরণের দিশা দেখানোর দায়িত্ব নিন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, বামফ্রন্ট নেতা ননী গোপাল, দিলীপ সেন, সবুজ মিয়া, জগদীশ গোস্বামী, ললিত দেবনাথ, মনু মিয়া, অহিদুর রহমান, আব্দুল লতিফ, মৃনাল কান্তি পাল, নিতাই দেবনাথ, সন্তোষ দেবনাথ প্রমুখ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com