সিপিআইএম পলিট ব্যুরো সদস্য ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছেন, বিজেপির কোন রাজনৈতিক মতাদর্শগত ভিত্তি ত্রিপুরারাজ্যে গড়ে উঠেনি। এই যে বিজেপির রমরমা দেখছেন এর পেছনে কারণ হচ্ছে কংগ্রেসের সুযোগসন্ধ্যানী, সুবিধাবাদী, ব্যক্তিস্বার্থান্বেষী দুর্বিনীত নেতৃত্ব। ওরা একবার জামা পাল্টে তুণমুলে গেছে, আবার এখন বিজেপিতে গেছে। জোট জমানায় এই মুখগুলোকে দেখেছেন ত্রিপুরার মানুষ। তাই বলছি সর্তক থাকবেন। ৮৮ সালের নির্বাচনের কথা ভুলে যাবেন না।
গতকাল রোববার সোনামুড়া ও আগরতলায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরপর তিনটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই সব কথা বলেন।
সারাদেশের মানুষকে চার বছর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা প্রথম পালন করুন। তারপর না হয় ত্রিপুরায় আসবেন। বিজেপির ‘ভিশন ডকুমেন্ট ত্রিপুরা’ সম্পর্কে এভাবেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সিপিআইএম পলিট ব্যুরো সদস্য ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
মানিক সরকার বিজেপির উদ্দেশ্যে আরো বলেন, চার বছরে সারাদেশের মানুষের অভিজ্ঞতা কি? শুধু প্রতারণা আর প্রবঞ্চনা। একটি প্রতিশ্রুতিও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রক্ষা করেনি। তারজন্যই তাদের কেন্দ্রের মসনদ থরথর করে কাপছে।
সবশেষে মানিক সরকার বলেন, আমরা জানি ত্রিপুরাজ্যের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। সোনামুড়ার চারটি আসনে আমাদের জয়ের ব্যবধান বাড়াতে হবে। আগরতলা ও বড়দোয়ালী কেন্দ্র দুটো এবার পুনরুদ্ধার করার শপথ আপনাদের নিতে হবে। নির্বাচনী জনসভা গুলোতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিআইএমের প্রার্থী শহিদ চৌধুরী, শ্যামল চক্রবর্তী, তপন দাস, বিশ্বনাথ সাহা এবং সিপিআইএম নেতা মানিক দাশগুপ্ত, সুরেশ দাস, সামসুল হক, কমল মজুমদার, রতন সাহা জিএম পি নেতা বিষ্ণ ত্রিপুরা, সুধীর চন্দ্র মজুমদার, রেণুবালা সুত্রধর, হাফিজ আলম সাইরানি শুভাশিস গাঙ্গুলী প্রমুখ।
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com