পিঠে জলের বোতল নিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। আর তাঁকে নাগাড়ে শাসিয়ে চলেছেন কয়েক জন। পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার অপমানের এই ভিডিওটি দেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক তরুণী। ২০ বছরের ওই কলেজছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির স্থানীয় এক নেতার দিকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে কিছু সমস্যা চলছিল বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা মহম্মদ শফিক ওরফে হিরার। ভিডিওটিতে হিরাকে রীতিমতো হুমকি দিতেও দেখা গিয়েছে।
মেয়েটির মায়ের দাবি, বাবাকে অপমান করার ওই ভিডিওটি কলেজে গিয়ে দেখেন তাঁর মেয়ে। তার পরই কলেজ থেকে ফিরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা।
মেয়েটির মায়ের আরও অভিযোগ, গত সোমবার প্রায় ২-৩ ঘণ্টা অভিযুক্ত ওই বিজেপি নেতা আটকে রেখেছিলেন তাঁর স্বামীকে। তখনই ওই নেতা তাঁর স্বামীকে অপমান করে বলে অভিযোগ ওই মহিলার।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র কে কে মিশ্র অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। অন্য দিকে, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সহ সভাপতি তথা বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র রাহুল কোঠারি বলেন, ‘‘দলীয় তরফে আমরা ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। দোষ প্রমাণীত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ বিজেপি এ ধরনের কোনও কাজকে প্রশ্রয় দেয় না বলেও দাবি করেছেন কোঠারি।
ঘটনার তদন্তকারী অফিসার রমেশ্বর রাজভর জানিয়েছেন, মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। হাসপাতালে মেয়েটির বয়ান সংগ্রহের জন্য পুলিশের একটি দলও গিয়েছিল। যদিও তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না।
তথ্যসুত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com