আবহমান কালথেকে বাংলাদেশে একিভাবে বসবাস করে আসছে মুসলমান, হিন্দু সহ ভিন্নধর্মাবলম্বীরা। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান হলে ও এখানে সকল ধর্মের অনুসারীরা অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে একে অপরের সুখ দুঃখে পাশে থেকে বসবাস করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম নিয়ে যেমন কটাক্ষ করার পরিমান বেড়েছে তেমনি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করা কিংবা তাদের বাড়ীঘর ভাংচুর করার মাত্রা ও বেড়েছে। কিন্তু কেন এমন করা হয়? যারা এমন ঘৃন্য কাজ করে তাদের পরিচয় বা কি? তারা কি প্রকৃতপক্ষে কোন ধর্মের অনুসারী? আমি মনে করি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিপীড়ন যখনি চালানো হয় তার পেছনে বাংলাদেশের নষ্ট রাজনীতিই জড়িত।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ক্ষমতার দন্ধে সঠিক রাজনীতি চর্চা না করে ইসলাম কিংবা সংখ্যালঘুদের ইস্যু বানিয়ে ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়ার প্রতিযোগিতাই একশ্রেনীর লোকদের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর পথ সুগম করে দেয়। একথা স্পষ্ট কোন ধর্মই অন্য ধর্মের উপর আঘাত করা সমর্থন করেনা। তাই প্রকৃত ধর্মের অনুসারীরা কখনো অন্য ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করতে পারেনা। আর ইসলাম ধর্মেতো অন্য ধর্মের অনুসারীদের কটাক্ষ করতে ও কঠোর ভাবে নিষেধ করেছে। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। আমাদের অর্জন অনেক। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কে নস্যাৎ করতে একটি মহল সবসময় তৎপর। কিন্তু আমরা যদি শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকা আর আসার লোভে নিজেরাই নিজেদের সম্ভাবনাময় পথ রুদ্ধ করে ফেলি তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে কি আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে যেতে পারবো?
লেখক
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
পরিচালক
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাক্ষণবাড়ীয়া
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com