ব্রেকিং

x

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী জিয়াকে প্রকাশ্যে আনতে হবে: আইনমন্ত্রী

শনিবার, ২৩ জুন ২০১৮ | ৩:৫৭ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী জিয়াকে প্রকাশ্যে আনতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পেছনে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জিয়াউর রহমান। সে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। বঙ্গবন্ধু হত্যার এ প্রধান ষড়যন্ত্রকারীকে বিচার করা না গেলেও বাংলাদেশ তথা বিশ্বে তার আসল জঘন্য রূপ তুলে ধরতে হবে। তাকে প্রকাশ্যে আনতে হবে।


গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।


জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ওপর রচিত গল্প মহামানবের দেশে অবলম্বনে নির্মিত চতুর্থ ও পঞ্চম কাহিনী চিত্র’ ‘সেদিন শ্রাবণের মেঘ ছিল এবং জনক ১৯৭৫’ প্রিমিয়াম শো ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনিরা বাংলাদেশকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তার স্বপ্ন, তার নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। খুনিদের বিচার হচ্ছে। তবে আমাদের দেশ এখনও কলঙ্কমুক্ত হয়নি। শুধু খুনিদের বিচার সম্পূর্ণ করে নয়, প্রকৃত পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে তিনি ১৯ বছরের যুবক। সেই সময়ে ১ থেকে ১৫ আগস্টের অনেক ঘটনা আমার মনে আছে।

মন্ত্রী তার বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের কথা স্মরণ করে বলেন, আমার বাবা আর বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের সম্পর্ক ছিল দারুণ। ১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার বাবা দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেছেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধু আমার বাবাকে বলেছিলেন, তোমাকে খন্দকার মোস্তাক মেরে ফেলবে। উত্তরে বাবা বলেছিলেন, আমাকে নয়; সুযোগ পেলে তোমাকেই (বঙ্গবন্ধু) তারা মেরে ফেলবে। ওই সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, খন্দকার মোস্তাকের পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত হারামিতে ভরা। এরপর ৫ বার খন্দকার মোস্তাক তাদের বাসায় এসেছেন, বাবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কী আলাপ হয়েছে তা জানতে।

আনিসুল হক বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই, এমন কোনো হত্যাকাণ্ড নেই যে ২১ বছর পর সেই হত্যাকাণ্ডের মামলা রুজু হয়েছে। খুনি তথা জিয়াউর রহমানরা চায়নি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হোক। বরং তারা যাতে বিচার না হয় তার জন্য আইন পাস করেছে।

তিনি বলেন, ৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত খুনিরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, নাম মুছে ফেলতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আইনের মাধ্যমে খুনিদের বিচার করছেন। তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করছেন। সোনার বাংলা গড়ছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, এখনও দেশে এমন রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। তাদের চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে। পণ করতে হবে, জাতির পিতার আদর্শ লালন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও তার চেতনায় দেশ গড়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সহযোগিতা করতে হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য মাহামুদুর রহমান বেলায়েত, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, সামিয়া রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ড. মোহাম্মদ ফারুক, স্থপতি জিয়াউল হক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জহির উদ্দিন মাহমুদ লিটন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, অভিনেতা শহিদুল ইসলাম সাচ্চু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দুটি চিত্রের রচিত ও নির্মাতা সহিদ রাহমান।

অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে খুন করে বাংলাদেশকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তাকে হত্যার পর দেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। খুনির দলরা এখনও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক নেতাদের মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে-এগিয়ে নিয়ে মাঠে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

Development by: webnewsdesign.com

error: Content is protected !!