ফেসবুকের পাল্লায় পড়ে প্রতারিত হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। মিথ্যা বন্ধুত্ব থেকে শুরু করে সম্পর্কের মায়াজাল, ফেসবুকের রঙীন দুনিয়ায় সবই সত্যি লাগে অনুগামীদের। তবে এবার সেই ফেসবুকের ফাঁদে পা দিল স্বয়ং পুলিস। এক কনস্টেবলের সঙ্গে ফেসবুকে মহিলা হয়ে চ্যাট করতেন এক পুরুষ। বিষয়টি যখন জানতে পারেন ওই কনস্টেবল, খুন করে বসেন ওই পুরুষটিকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের চেন্নাইয়ের ইন্নোর পুলিসের ৩২ বছরের এক কনস্টেবল এবং তাঁর তিন সঙ্গী মিলে বিরুধানগরের এক ২২ বছরের যুবককে খুন করেন। ওই কনস্টেবলের সঙ্গে যুবকটি ফেসবুকে মেয়ে পরিচয় দিয়ে চ্যাট করত এবং পরে তা প্রেমে পরিণত হয়। ওই যুবক কনস্টেবলের কাছ থেকে মোটা টাকার প্রতারণাও করে। তদন্তে জানা যায়, কনস্টেবল কন্নন কুমার পোঙ্গলের জন্য ১০ দিনের ছুটি নিয়ে তাঁর বাড়ি আসেন। বাড়ি আসার কারণই হল, তিনি এতদিন যে মেয়েটির সঙ্গে ফেসবুকে চ্যাট করতেন তার সঙ্গে দেখা করবেন। ২২ বছরের যুবক আয়ানার ফেসবুকে মেয়েদের নাম দিয়ে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে। যা দেখে আকৃষ্ট হন কনস্টেবল কন্নন কুমার। ফেসবুকে চ্যাটের মাধ্যমে তাদের দু’জনের মধে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এমনকী ওই কনস্টেবল আয়ানারকে টাকাও পাঠাতেন। ছুটিতে বাড়ি এসে যখন তিনি আয়ানারের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন, তখন আয়ানার তা প্রত্যাখান করে। এতেই সন্দেহ জাগে কনস্টেবল কন্নন কুমারের। তিনি নিজে বিষয়টা খতিয়ে দেখে জানতে পারেন, এতদিন যাকে মেয়ে ভেবে তিনি প্রেমালাপ করছিলেন সে আদপে এক যুবক। এরপরই কন্নন কুমার তাঁর তিন সঙ্গীর সঙ্গে জোট বেঁধে ওই যুবককে ডেকে খুন করেন।
পুলিস ইতিমধ্যেই কন্নন সহ তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে। কন্নন নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে পুলিসের কাছে। মন ভেঙে যাওয়ার জন্যই তিনি এ ধরনের পদক্ষেপ করেছেন বলে জানান চেন্নাই পুলিস। তাই ফেসবুক করার আগে অবশ্যই বন্ধুর প্রোফাইলটি ভাল করে যাচাই করে নিন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়গুলিকে সেখানেই ছেড়ে আসুন। বাস্তবজীবনে তার প্রভাব পড়তে দেবেন না। সূত্র: আজকাল
আখাউড়ানিউজ.কমে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র, কপিরাইট আইন অনুযায়ী পূর্বানুমতি ছাড়া কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
Development by: webnewsdesign.com